রানাঘাটে সাংসদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্টার! চাঞ্চল্য
দলবদলু নেতাদের পর এবার রানাঘাটের(Ranaghat) সাংসদ সদস্য বিজেপির(BJP) জগন্নাথ সরকারের(Jgannath Sarkar) ছবি সম্বলিত পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার সকালে রানাঘাট ও বাদকুল্লার বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁর নামে পোস্টার পড়ে। তাতে লেখা হয়, ‘চরিত্রবান সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং তার বন্ধুদের মেগা ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব কামিং সুন’। বিধানসভা ভোটের আগে এই ধরনের পোস্টার পড়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, শাসক দল ভোটের আগে নোংরা খেলায় নেমেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই পড়েছে ওই পোস্টার।
এদিন সকালে রানাঘাটের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজদিয়া পাঠান পাড়ায়(Majdiya Pathan Para) ওই রঙিন পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে জগন্নাথবাবুর ছবি ও এক মহিলার সঙ্গে অশালীন হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটিংয়ের কিছু স্ক্রিনশট ছবি আকারে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মোজাহার শেখ বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের এলাকায় কোনও অশান্তি নেই। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে, বুঝতে পারছি না।
কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বাদকুল্লার বেশকিছু এলাকাতেও ওই একই পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সাংসদ বলেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ে ক্ষমতা হারিয়েছে তৃণমূল। তাই ওই দলের লোকেরা আমার বিরুদ্ধে এধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। মানুষের কাছে আমার ও বিজেপির ভাবমূর্তি খারাপ করতে চাইছে। দীর্ঘদিন আমি শিক্ষকতা করেছি। মানুষ আমাকে খুব ভালো করে চেনে, জানে। বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের চ্যাটিং তৈরি করে দেওয়া যায়। এর আগেও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার জনপ্রিয়তা হ্রাস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। তাই এবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছে।
যদিও রানাঘাট-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, এধরনের ঘটনার পিছনে আমাদের দলের কোনও কর্মী বা সমর্থক যুক্ত নয়। বিজেপি বর্তমানে একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। তাই এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই ধরনের পোস্টার লাগাচ্ছে। এতে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। ওরা নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসের শেষের দিকে রানাঘাটের সংসদ সদস্য একই ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় তাঁর একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখিত হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, এমপি গোপনে এক মহিলার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছেন। এদিনের পোস্টারেও সেই আগের ভাইরাল হওয়া চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে শুধু সাংসদ নয়, শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও শহরে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। তাতে কখনও বিধায়ককে ‘পাপী’ বলে উল্লেখ করা হয়, কখনও আবার বিধায়ককে শান্তিপুর ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে ওই পোস্টার কাদের তরফে দেওয়া হচ্ছে, তার উল্লেখ করা হয়নি। এদিনের পোস্টারও সেই একই কায়দায় ছাপানো হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলবদলুদের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি নিচুতলার কর্মীদের একাংশ মেনে নিতে পারেনি। প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখাতে না পারলেও তারা পোস্টারের মাধ্যমে