নার্সিংহোমে ১০ বেড থাকলেই স্বাস্থ্যসাথী আবশ্যিক
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Swasthya Sathi) থাকা সত্ত্বেও কেউ হয়রান হলে বরদাস্ত করা হবে না—মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। কিন্তু কিছু হাসপাতাল তাতে কর্ণপাত করছিল না। এবার কড়া নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্যভবন। এমনকী লাইসেন্স বাতিলের কঠিন সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ১০ শয্যা বা তার বেশি বেডের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতেই হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগী বা তাঁর পরিবারকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও ওজর-আপত্তি চলবে না। অন্যথায় অভিযুক্ত হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (রেজিস্ট্রেশন, রেগুলেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি) অ্যাক্ট ২০১৭’ প্রয়োগ করা হবে। এদিন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী এই নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এদিনও প্রায় ১০০টি প্রাইভেট হাসপাতাল-নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীতে নাম লিখিয়েছে। আশা করছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি থাকা কয়েকটি হাসপাতালও যুক্ত হবে। আমরা প্যাকেজ রেট বাড়িয়েছি। এরপরও নিয়ম না মানলে কড়া অবস্থান নেব।’
ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (সিই) আইনের ওই ধারায় ঠিক কী বলা রয়েছে? আইনের সাত নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা রয়েছে, ‘রাজ্যের সিই লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যাবতীয় প্রকল্প রূপায়ণে যথাযথ সাহায্য করতে হবে।’
সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম মিলিয়ে স্বাস্থ্যসাথীতে যুক্ত হয়েছে বাংলার দু’হাজারের বেশি হাসপাতাল। শুধু জানুয়ারিতেই সাড়ে তিনশো বেসরকারি হাসপাতাল যুক্ত হয়। ফেব্রুয়ারিতে এখন পর্যন্ত সংখ্যাটি ছাপিয়ে গিয়েছে সাড়ে চারশো। এর মধ্যে দক্ষিণ ভারতের ভেলোর, দিল্লির এইমস সহ একাধিক নামজাদা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রাজারহাটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসও।
এদিনের সরকারি নির্দেশ প্রসঙ্গে পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির সংগঠনের অন্যতম এক কর্তা জানান, রাজ্যে আমাদের গোষ্ঠীভুক্ত সবক’টি হাসপাতালই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। সুবিধা-অসুবিধার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা তো সবসময় খোলাই রয়েছে।