রায়দিঘিতে লড়তে চাই না, ঘোষণা দেবশ্রীর
দেবশ্রী রায়কে ঘিরে ভোটমুখী বাংলায় আবারও চর্চা। ‘অভিমান’ নিয়ে রায়দিঘি থেকে সরে যাচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক। আর রায়দিঘিতে ভোটে লড়তে চান না, একুশের ভোটযুদ্ধের আগে এমনটাই তৃণমূল (Trinamool) নেতৃত্বকে জানিয়েছেন দু’বারের বিধায়ক দেবশ্রী (Debashree Roy)। এই প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে দেবশ্রী বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আর রায়দিঘিতে দাঁড়াতে চাইছি না। অনেক বিরক্ত হয়েছি। টোটো কেলেঙ্কারি নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আর ওখানে দাঁড়াতে চাইছি না।’ উল্লেখ্য, গত বছর দেবশ্রীর বিরুদ্ধে টোটো দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী, রায়দিঘির জন্য বিধায়ক হিসেবে দেবশ্রী কোনও কাজ করেননি বলে বারংবার আক্রমণ করেছেন BJP নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন একটি স্থানীয় বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে দেবশ্রী জানিয়েছেন, ‘আমার কেন্দ্রের অনেকের সঙ্গে দেখা হল। ওঁরা হাতজোড় করে বলছিলেন, আমায় দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু, আমি আর চাইছি না। রায়দিঘির মানুষ কিন্তু আমায় ভালোবাসেন। আমি সম্মানের সঙ্গে বড় হয়েছি। ফলে কেউ অপমান করলে, আমার অসুবিধা হয়। খুব অপমানিত হয়েছি।’ এরপর দেবশ্রী বলেন, ‘আমায় হুমকি ফোন এসেছে। তৃণমূলেরই একাংশ হুমকি ফোন দিচ্ছে। কয়েকজন চান না আমি বিধায়ক থাকি। সবটাই মাননীয়াকে জানিয়েছি।’ তাহলে কি অন্য কোথাও থেকে দাঁড়াচ্ছেন? দেবশ্রীর জবাব, ‘সেটা জানি না এখনও।’
উল্লেখ্য, রায়দিঘিতে দু’বার নির্বাচনে দেবশ্রীর জয়লাভের নেপথ্য নায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ই, অন্তত এমনটাই মনে করে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। এদিকে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের BJP-তে যোগদানের দিন দিল্লিতে গেরুয়াবাহিনীর সদর দফতরে দেবশ্রীর উপস্থিতি ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। শোভন BJP-তে যোগ দেওয়ায় দেবশ্রীও সে দলে যোগ দেবেন বলে তুমুল চর্চা শুরু হয়। কিন্তু, ‘দেবশ্রী BJP-তে যোগ দিলে তাঁরা যোগ দেবেন না’ বলে BJP শীর্ষ নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দেন শোভন-বৈশাখী। এর জেরে চরম টানাপোড়েন চলে। শেষমেশ, খালি হাতেই দিল্লিতে BJP-র সদর দফতর থেকে ফিরতে হয়। আর গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন শোভন-বৈশাখী। এই ঘটনাপ্রবাহের পর থেকেই শোভন-বৈশাখী বনাম দেবশ্রী বাগযুদ্ধে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি।