একুশের খেলায় আমি গোলরক্ষক: হুগলীতে মমতা
হুগলীর সাহাগঞ্জে রাজনৈতিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই সাহাগঞ্জের সভা থেকে তৃণমূলের (Trinamool) বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সাহাগঞ্জে দাঁড়িয়েই তার জবাব মমতার।
সাহাগঞ্জের এই সভাতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন টলিউডের এক ঝাঁক তারকা। ঘাসফুলে নাম লেখালেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, জুন মাল্য, মানালি দে ও সায়নী ঘোষ। এ ছাড়া দলে যোগ দিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। যোগদানের তালিকায় আরও রয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও সুদেষ্ণা রায়, ফুটবলার সৌমিক দে।
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া স্লোগান (Slogan) ‘খেলা হবে’ আবার শোনা গেল মমতার মুখে। তিনি বললেন, খেলা হবে। এবারও খেলা হবে। আমি থাকব গোলরক্ষক। একটাও গোল করতে পারবেন না। এখানে বলতে এলে মাইকের সামনে ট্রান্সপারেন্ট গ্লাস থাকে। সেটা দেখে দেখে দু’-একটা বাংলা বলেন। এই দু’-এক লাইন বাংলা বলে রাজ্যের মানুষের মন জয় করা যাবে না।
শিল্প নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। বলেন, ২০১৬ সালে আমরা বললাম, ডানলপ টাকে অধিগ্রহন করতে চাই। জেসপ চালাতে চাই। দিল না। আমরা ১০ হাজার টাকা করে এক্সগ্রাসিয়া দিই। জিজ্ঞাসা করুন তো, কেন মোদী করতে দেননি? এখন উনি ফিতে কাটছেন। এই সব প্রকল্প আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করে দিয়ে গেছি। এই দেশে এখন দু’টো নেতা। একজন হোদল কুতকুত। আরেকজন কিম্ভূতকিমাকার। গায়ের জোর দেখাচ্ছে।
মমতার অভিযোগ, শ্রমিকদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে পবন রুইয়ার অতিথি হয়েছেন তাঁরা। এঁদের মুখে বড় বড় কথা শুনব আমি? কথায় কথায় বলেন, তৃণমূল তোলাবাজ? আর আপনি কি? আপনি দাঙ্গাবাজ? যাঁরা ৫টাকা, ১০ টাকা তোলে, তাঁকে বলে তোলাবাজ। আর আপনারা কোটি কোটি টাকা কাটমানি খান। কারখানা বিক্রি করে দেন। দেশটাকেই বিক্রি করে দেন। গরিব লোকেরা খেলে হয় কাটমানি, আর আপনারা খেলে হয় ক্যাটমানি?
হুগলীর (Hoogly) উন্নয়ন নিয়েও মোদীকে একহাত নেন মমতা। বলেন, এখানে ২৪টা ক্লাস্টার হয়েছে। নতুন গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ হয়েছে। এ ছাড়া গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি। সিঙ্গুরে আমরা ১১ একর জমির উপর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করছি। ডানকুনি থেকে শুরু করে রেললাইন ধরে শিল্প হতে হতে যাবে। বাংলা ১০০ দিনের কাজে ১ নম্বর। এমএসএমই-তে ভাল কাজ করছে। আমরা বলি আর করি। এরা কিছু করে না শুধু মিথ্যা কথা বলে।
মমতার সাফ কথা, গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে।