আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরাও প্রশিক্ষিত সার্জন, বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরাও সার্জারি করতে পারবেন, সম্প্রতি এমনই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ূষ মন্ত্রক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকরা। তার জবাবেই এদিন মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় আয়ূষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক (Shripad Naik)।
সম্প্রতি একটি পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানেই তাঁর চিকিৎসকা চলছিল। এদিন ছাড়া পেয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিতর্কে জবাবে বলেন, ‘মিক্সোপ্যাথি’ (Mixopathy) বলে কিছু হয় না। আমরা এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে চাইছি, যা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
সার্জারি করার জন্য যে প্রশিক্ষণ লাগে, আয়ূর্বেদ চিকিৎসকদের আদৌ তা আছে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীপদ নায়েক বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করার পর আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরা এক বছরের ইন্টার্নশিপ করেন। সেখানেই তাঁদের সার্জারির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’
প্রসঙ্গত, আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচারের ছাড়পত্র দিতে ২০১৬-র আয়ুর্বেদ স্নাতকোত্তর শিক্ষা আইনে ইতিমধ্যেই সংশোধন করেছে মোদী সরকার। গত বছরের নভেম্বরে সেই মর্মে একটি বিবৃতিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, স্নাতকোত্তর স্তরে সাধারণ অস্ত্রোপচার এবং কান, নাক, গলা, চোখ, মাথা, হাড় এবং দাঁতের অস্ত্রোপচারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আয়ুর্বেদ পড়ুয়াদের। যদিও আয়ুর্বেদ (Ayurvedic) চিকিৎসকদের এই এক বছরের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে রোগীদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া যায় না বলেই বহু অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসক মনে করেন।