এপ্রিলেই পাঁচ রাজ্যে ভোট শেষ করতে চায় কমিশন
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট কবে ঘোষণা হবে? এই প্রতীক্ষা এখন পাঁচ রাজ্যে। আর এই তালিকায় অবশ্যই শীর্ষে বাংলা(West Bengal)। তবে ঘোষণা যেদিনই হোক না কেন, এপ্রিলের মধ্যে ভোটপর্ব শেষ করে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission Of India)। নানা রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু এই মুহূর্তে আলোচনার শিখরে রয়েছে, তাই কমিশনেরও বাড়তি নজর রয়েছে এই রাজ্যে। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলায় ছ’ থেকে সাত দফায় ভোট হতে পারে, যাতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী সব দফায়, পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করা যায়। সেই মতোই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগচ্ছে জাতীয় কমিশন। আজ, বৃহস্পতিবারই ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় আসার কথা ছিল ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের। তাঁর এই সফরসূচি বাতিল হয়েছে। তবে তিনি বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলাশাসক ও পুলিস কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক করবেন।
ভোট প্রস্তুতিতে কমিশনে এখন নিত্য বৈঠক চলছে। সেই মতো বুধবারও পাঁচ রাজ্যের ভোট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক হয়। সেখানে স্থির হয়েছে, এবার কোথাও কোনও সংঘর্ষ যেন না ঘটে, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। নগদ লেনদেনের বিষয়েও নজরদারি চলবে। ঠিক হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোটের প্রস্তুতি পর্যালোচনায় আগামী ২ মার্চ দিল্লির নির্বাচন সদনে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব, সিবিডিটি এবং সিবিআইসি’র চেয়ারম্যান, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ডিরেক্টরের মতো পদস্থ অফিসারদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
তবে নির্বাচন ঘোষণার দিনক্ষণই এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। ফেব্রুয়ারির শেষে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার কথা আগেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু অসমের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, ভোট ঘোষণা হতে পারে মার্চের শুরুতে। এই ইঙ্গিতে কমিশন কিছুটা বিপাকে পড়ে গিয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ। অথচ, ৪ মে থেকে সিবিএসই পরীক্ষা। আর সব মিলিয়ে পাঁচ রাজ্যে ৮২৪টি আসনে ভোট করাতে হবে। সেক্ষেত্রে উপায় একটাই, এপ্রিলের মধ্যে গোটা পর্ব সম্পন্ন করা। কাজেই, হাতে সময় কম। কমপক্ষে ২১ দিন আগে ভোট ঘোষণা করাই দস্তুর। কিন্তু শেষ মুহূর্তের আরও কিছু প্রস্তুতি সারতে সময় নিচ্ছে কমিশন।