রাকেশের গ্রেফতারি নিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব
গ্রেফতারির পরেই তাঁর নাম ফাঁস করেছিলেন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী (Pamela Goswami)। অবশেষে মঙ্গলবার কোকেনকাণ্ডে ধরা পড়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ। আর তাঁকে ঘিরে এখন ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের।
প্রসঙ্গত, কোকেন-কাণ্ডে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির (BJP) যুবনেত্রী পামেলা। আর তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে রাকেশকে (Rakesh Singh)। আর এই জোড়া গ্রেফতারিই বিধানসভা ভোটের মুখে গেরুয়া শিবিরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্ব এতটাই বেসামাল যে, রাকেশ-পামেলার পাশে দাঁড়ানো উচিত, না বিষয়টি উপেক্ষা করা উচিত, তা নিয়েও মতপাথর্ক্য তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও প্রকাশ্যে রাকেশের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় বিড়ম্বনা বেড়েছে।
রূপা (Rupa Ganguly) কোনও রাখঢাক না করেই বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যে অন্যায় করবে, জেলে যাবে। একদম ঠিক হয়েছে। আমি একটা জিনিসই বুঝি, অন্যায় করলে জেলে যেতে হবে।’ রাকেশের গ্রেফতারির পর রাজ্য বিজেপির তরফে গোটা বিষয়টিকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলেই ব্যাখ্যা করা হলেও এদিন রূপা সেই তত্ত্বে সায় দেননি। তাঁর কড়া প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট, আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি রাকেশের গ্রেফতারিকে প্রতিহিংসা হিসেবে ব্যক্ত করলেও দলের অন্দরে একটি শিবির মনে করছে অবিলম্বে রাকেশ-পামেলার ‘পাপের’ দায় থেকে বিজেপির দূরে সরে যাওয়া উচিত। না হলে, বিধানসভা ভোটে বড়সড় খেসারত দিতে হতে পারে।
বিজেপির অন্দরের খবর, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh) বিশেষ পছন্দ করেন না রাকেশকে। সূত্রের খবর, তাঁকে দলে নেওয়ার সময় নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু দলীয় অবস্থানের বাইরে না বেরিয়ে রাকেশ গ্রেফতার হওয়ার পরে তিনি বিষয়টিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে দাবি করেছিলেন। এখন রূপার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফাই, ‘উনি তো দলের মুখপাত্র নন।’ এর থেকে স্পষ্ট রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে এই ইস্যুতে অর্ন্তদ্বন্দ শুরু হয়ে গিয়েছে।