আর বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন দেবে না কেন্দ্র?
প্রত্যাশামতোই ১ মার্চ থেকে দেশে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাকরণ (COVID-19 Vaccine) শুরু হচ্ছে। এই পর্যায়ে আর বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না! বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হলে খরচ করতে হবে গাঁটের কড়ি। সরকারি খবর অনুযায়ী, এই পর্যায়ে টিকা পাবেন ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। বুধবার এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
ইতিপূর্বে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কোভিড ভ্যাকসিনের দাম কত হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। এ প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানালেন, আপাতত সরকারি কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যেই টিকাকরণ চলবে। তবে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হলে গাঁটের কড়ি খসাতে হবে। কত হবে টিকার দাম, তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জানিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্র জানিয়েছে, গোটা দেশে ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি কেন্দ্রে টিকাকরণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৯৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের গতি নির্ধারিত লক্ষ্যের থেকে কম হলেও, অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে আমনাগরিকদের টিকাকরণ শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, টিকাকরণের জন্য এবারের বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
টিকাকরণের মাঝেও চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। এর মাঝে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দল। এদিন কেন্দ্রের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে।বাংলা ছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, গুজরাট, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড গ্রাফ কেন বাড়ছে, তা রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে মিলিতভাবে খতিয়ে দেখবে তাঁরা। এ ছাড়া আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য সাতটি রাজ্যকে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।