রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ আসলে প্রহসন: ব্রাত্য বসু

February 26, 2021 | 2 min read

‘গুজরাটের যে ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’- এর ঢক্কা নিনাদ বাজছে, তা আসলে প্রহসন। ওরা একচেটিয়া পুঁজির পক্ষে। কিন্তু আমরা মানুষ, নারীদের ক্ষমতায়নের পক্ষে।’ তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhavan) সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।

তিনি বলেন, ‘ গুজরাটে শুধু ডবল ইঞ্জিন না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দুজনেই সেই রাজ্যের। গুজরাটের (Gujarat) এই ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার, চলে মার্টিন রেলের মতো ঢিমেতালে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কারণেই বিজেপি চালিত রাজ্যগুলির থেকে সব দিক দিয়ে এগিয়ে বাংলা। তিনি নারী, দলিত, সংখ্যা লঘুদের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। বাংলায় সামাজিক নবজাগরণ নিয়ে এসেছেন।’

বার বার রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP)। এদিন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন মন্ত্রী।

দেখে নেওয়া যাক খতিয়ানঃ

স্বাস্থ্যব্যবস্থা

১) ২০১১ এর আদমশুমারি অনুযায়ী লিঙ্গ অনুপাত: ভারত: ৯৪৩, বাংলা: ৯৫০, উত্তরপ্রদেশ: ৯১২, মধ্যপ্রদেশ: ৯৩১, গুজরাত: ৯১৯।
২) শিশু মৃত্যুর হার: মধ্যপ্রদেশ: ৪৮%, উত্তরপ্রদেশ: ৪৩%, গুজরাট: ২৪%, বাংলা: ২২%।
৩) রাজ্য ভিত্তিক মাতৃ মৃত্যুর হার: ভারত: ১১৩, বাংলা: ৯৮, মধ্যপ্রদেশ: ১৭৩, উত্তরপ্রদেশ: ১৯৭।
৪)হাসপাতালের বেডের সংখ্যা: বাংলা: ৮৫,৬২৭, গুজরাট: ২০,১২৭, উত্তরপ্রদেশ: ৭৬,২৬০, মধ্যপ্রদেশ: ৩১,১০৬, কর্ণাটক: ৬৯,৭২১।

আইন – শৃঙ্খলা

তিনি জানান কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী কলকাতা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর।২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে।

কিছু বড় শহরগুলিতে অপরাধের সংখ্যা প্রতিলক্ষ জনসংখ্যায়: দিল্লিতে–১৪৫৭, সুরতে–১৩১৭, আমেদাবাদে–৮২৬, কলকাতায় – ১৫২।

২০১৯- এ মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা উত্তরপ্রদেশে – ৫৯,৮৫৩, বাংলায় – ৩০,৩৯৪।

মহিলাদের বিরুদ্ধে মোট অপরাধের হার (প্রতিলক্ষজনসংখ্যায়) হরিয়ানা–১০৮, মধ্যপ্রদেশ–৬৯, বাংলা–৬৪

২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার বৃদ্ধি উত্তরপ্রদেশ: ৫৬%, বাংলা: ২১% হ্রাসপেয়েছে।

তপশিলি জাতির মানুষদের বিরুদ্ধে অপরাধ উত্তরপ্রদেশে – ২৫.৫%, বিহারে – ১৪.২%, বাংলায় – ০.৩%।

তপশিলি উপজাতির মানুষদের বিরুদ্ধে অপরাধ মধ্যপ্রদেশে – ২৩.৩%, উত্তরপ্রদেশে – ৮.৭%, বাংলায় – ১.২%।

তিনি আরো বলেন,

• সত্য ঘটনা প্রকাশিত করার জন্য উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের মতো রাজ্যে সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়। গত বছর বলরামপুর ও বালিয়ায় সাংবাদিক খুন হয়েছিলেন।

• বিজেপি বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। ওরা বেআইনী সিএএ-এনআরসি চালু করতে চাইছে এবং বলছে বাংলা থেকে “অনুপ্রবেশকারীদের” বের করে দেওয়া হবে। ওরা ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে “ধর্মান্তরণ-বিরোধীআইন” চালু করতে চলেছে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিচ্ছে।

মন্ত্রী এদিন গুজরাটে দলিতদের পিটিয়ে মারার বিষয়ের নিন্দা করে বলেন, ‘দলিত দের বিনা কারণে পিটিয়ে মারার বহু ঘটনা ঘটছে।গুজরাতে উনার ঘটনার পরে ৩০ জনেরও বেশি দলিত আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৯ সালে বাংলা গণপ্রহার বিরোধী আইন পাস করেছে। কেন্দ্র গণপ্রহার– এর বিরুদ্ধে কোনও বিল আনেনি।’

এছাড়াও এদিম মন্ত্রী সড়ক তৈরি থেকে কর্মদিবস বৃদ্ধি, বনাঞ্চল বৃদ্ধির খতিয়ান তুলে দেখান সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য রাজ্যের থেকে এগিয়ে আছে বাংলা।

বহিরাগত প্রসঙ্গে সব শেষে তিনি বলেন, ‘কলকাতায় অপরাধ বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে কম। বাইরে থেকে লোক আসা কমলে, কমবে অপরাধ।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Bratya Basu, #Trinamool Congress

আরো দেখুন