‘পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে না, ইংলিশ চ্যানেলের স্বপ্ন দেখছে!’, আব্বাসকে তোপ সিদ্দিকুল্লাহর
পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে না, আবার ইংলিশ চ্যানেল জয়ের স্বপ্ন দেখছে! নাম না করে এইভাবেই আইএসএফ (ISF) নেতা আব্বাস সিদ্দিকীকে কটাক্ষ করলেন পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। পাশাপাশি, মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে নাম না করে হায়দরাবাদের ‘উড়ন্ত পাখি’ বলে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে তিনি ঘোষণা করেন, এবারের নির্বাচনে (WB Assembly Election) আর মঙ্গলকোট থেকে প্রার্থী হতে চান না।
এ প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহ পরোক্ষভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)দায়ী করে বলেন, “আমি মঙ্গলকোট কেন্দ্রে আর দাঁড়াব না। আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রীকে তা সরাসরি জানিয়েছে। দলের আরও শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি, ৫ বছর ওখানে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ওখানকার মাটি উত্তপ্ত, সেটাও বলেছি। ওখানকার মাটি গরম। মেজাজ গরম। আর বীরভূম থেকে এই গরমটা খাওয়ানো হয়।”
এদিন বর্ধমান সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিরও সমালোচনা করেন সিদ্দিকুল্লাহ। তিনি বলেন,”বিজেপি টাকা দিয়ে সব করছে। সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছে।” আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddique) প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “ফুরফুরা কোনওদিন রাজনৈতিকভাবে ছিল না। উনি পরের হাতে তামাক খাচ্ছেন। হায়দরাবাদ থেকে একজন উড়ে এসেছিলেন। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছেন উনি। অন্য অনেক জায়গায় সেটা করেছেন। বাংলায় হায়দরাবাদের উড়ন্ত পাখি দরকার নেই।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সিপিএমকে ৩৪ বছর বাংলার মানুষ রাখতে পেরেছে, দিদি ১০ বছরে এত বোঝা হয়ে গেল এই জ্ঞানবুদ্ধি ওদের কে দিয়েছে। তাঁর কথায়, “অপরিণত মস্তিষ্কের খেলা। পুতুল নাচ নাচছেন। ৪০টি আসনে জিতব বলছে। পাড়ায় ফুটবল খেলার অভ্যাস নেই, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলে খেলতে চায়। পাড়ায় ডোবায় সাঁতার কাটতে পারে না ইংলিশ চ্যানেল জয় করতে চায়।”