বাড়ির কাছেই সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা টিকা
বয়স ষাটের বেশি হলে কিম্বা ৪৫ থেকে ষাটের মধ্যে অন্য কঠিন অসুখ থাকলে বাড়ির কাছে বাছাই করা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে মিলবে করোনার টিকা (Corona Vaccine)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যের টিকাকরণের পদ্ধতি নিয়ে বৈঠক ছিল। ১ মার্চ থেকে শুরু হবে ওই টিকাকরণ। এদিন প্রধান যে দুটি পদ্ধতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, তার একটি হল সচিত্র পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাড়ির কাছে হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য কো-মরবিডিটি থাকা ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের নিজেদের অসুস্থতার প্রামাণ্য রেকর্ড নিয়ে যেতে হবে। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হল অনলাইনে কোউইন অ্যাপ ডাউনলোড করে নাম নথিভুক্ত করা। তারপর অ্যাপের মাধ্যমে ডাক পেলেই মিলবে টিকা।
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করা যায়, এমন বেসরকারি হাসপাতালেও আগামী মার্চ থেকে করোনার টিকা মিলবে। তবে প্রাইভেটে টিকাকরণের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। টিকাপিছু সার্ভিস চার্জ বাবদ ১০০ টাকা ধরা হলেও সেখানে টিকার দাম কত হবে, এখনও স্থির করেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত, সিজিএইচএস প্যানেলভুক্ত হাসপাতালগুলিতেও মিলবে ওই টিকা। যেসব বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞ কর্মী, টিকার ভায়াল রাখার মতো সঠিক কোল্ড চেইন এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে পৃথক ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা আছে, সেখানেই টিকা দেওয়ার অনুমোদন মিলবে। জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করা যায়, এমন বেসরকারি হাসপাতালেও আগামী মার্চ থেকে করোনার টিকা মিলবে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করা যায়, এমন বেসরকারি হাসপাতালেও আগামী মার্চ থেকে করোনার টিকা মিলবে। তবে প্রাইভেটে টিকাকরণের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। টিকাপিছু সার্ভিস চার্জ বাবদ ১০০ টাকা ধরা হলেও সেখানে টিকার দাম কত হবে, এখনও স্থির করেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত, সিজিএইচএস প্যানেলভুক্ত হাসপাতালগুলিতেও মিলবে ওই টিকা। যেসব বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞ কর্মী, টিকার ভায়াল রাখার মতো সঠিক কোল্ড চেইন এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে পৃথক ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা আছে, সেখানেই টিকা দেওয়ার অনুমোদন মিলবে। জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, মার্চ মাসে এই গণটিকাকরণের জন্য আপাতত চার হাজার কেন্দ্র বাছাই করা আছে। প্রয়োজনে তা বাড়িয়ে ১২ হাজার করা যাবে। অনলাইন বাদে যেসব কেন্দ্রে গিয়ে করোনার টিকা পাওয়া যাবে, শীঘ্রই তার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন। ১ মার্চ পুরোদমে না হলেও গণটিকাকরণের ‘সফট রান’ হবে। রাজ্যও তাতে অংশ নেবে।
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের ৪৭.৭ শতাংশ পেয়েছেন প্রথম ডোজ।