বালুরঘাটে ফাঁকা মাঠে বক্তব্য রাখলেন রাজনাথ
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) জনসভায় ভিড় হল না। লোক নেই পরিবর্তন যাত্রাতেও। এর জেরে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর জনসভা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু মাঠ পুরো ফাঁকা থাকার কারণে মন্ত্রী ৩টের পরে আসেন। মাঠ ফাঁকা থাকার জন্য মঞ্চে সঞ্চালক বারবার করে অনুরোধ করেন রাস্তায় থাকা কর্মীরা যেন মাঠে আসেন।
জনসভায় আসার জন্য বিজেপির তরফে মোটর বাইক প্রতি পেট্রল বরাদ্দ থাকলেও অনেকে শহরে এসে জনসভায় যোগদান না করে নিজ নিজ কাজ করে বাড়ি চলে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। মাঠে কিছুটা ভিড় থাকলেও রাজনাথের বক্তব্য শুরু হতেই কর্মীরা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। অগত্যা কার্যত ফাঁকা মাঠেই রাজনাথ বক্তব্য রাখেন। নির্বাচনের আগে জেলায় প্রথম এতবড় জনসভা আয়োজন করা হলেও কেন ভিড় হল না তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরের হিলি মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত পরিবর্তন যাত্রাতেও রাজনাথ সিংয়ের থাকার কথা থাকলেও দুই মিনিট রথে থেকে নেমে যান তিনি। এমনকী মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করতে রথ থেকে নেমে এলেও তা না করেই গাড়িতে উঠে চলে যান।
বিজেপি সূত্রে খবর, জনসভায় ভিড় না থাকার কারণে রাজনাথ ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবর্তন যাত্রায় অংশগ্রহণ না করে সোজা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজনাথ সিং বিমানে করে বালুরঘাট বিমানবন্দরে নামেন। তারপর তিনি সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নেন। দুপুর আড়াইটেয় জনসভায় যোগদানের সময় নির্ধারিত ছিল। তবে সেসময়েও জনসভার মাঠ প্রায় ফাঁকা ছিল। মঞ্চে উঠে রাজ্যের একাধিক নেতা জনসভার মাঠ ফাঁকা দেখে অস্বস্তিতে পড়েন। মঞ্চে উঠে রাজনাথ সিং বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের প্রশংসা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি এই রাজ্যকে পুলিসি রাজত্বে পরিণত করেছেন।
অহংকার করে সরকার চালানো যায় না। রাজনীতি কি শুধু সরকার গড়ার জন্য? এই রাজ্যে শুধু হিংসারাজ চলছে। দিদি আপনাকে প্রশ্ন করছি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় কার। আমিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। তাই আমি বলছি আপনি ও বাম মিলে এই রাজ্যকে ৪৪ বছর ধরে শাসন করে দেশের অন্য রাজ্যের উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে দিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় এসে এই রাজ্যকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় ভরিয়ে তুলব। বক্তব্য শেষে রাজনাথ সিংয়ের মুখে খেলা হবে স্লোগান শোনা যায়। তিনি বলেন, আমরাও খেলা খেলব। তবে সেই খেলা হবে উন্নয়নের ও শান্তির খেলা। এই মুহূর্তে