মমতাকে খুনের চক্রান্ত চলছে, বিস্ফোরক সুব্রত
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের চক্রান্ত চলছে। শনিবার কালনার ধাত্রীগ্রামের কালীনগরে নির্বাচনী সভায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভোট হোক উন্নয়নের। সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে এক দল বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তাই বাংলাকে বাঁচাতে, বাংলার ঘরের মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে সকলে মিলে এবার ঝাঁপাতে হবে।
এদিন কালীনগর গ্রামের সভায় সুব্রতবাবু ছাড়াও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান ও নদীয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে সুব্রতবাবু বলেন, ভোট দিন এলাকার উন্নয়ন ও বাংলার ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে। একটি দল গুজরাত, দিল্লি থেকে বাংলায় লোক আনছে। আমাদের আগামী দিনের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অন্য দলগুলির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা জানা নেই। তাই ভোট চাইতে এলে বলুন, আগে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করুন, তারপর ভোট চাইতে আসবেন। সাম্প্রদায়িকতা নয়, সবার উপর মানুষ সত্য। বাংলায় খেলা হবে, সেই খেলায় ওরা হারবে। বাংলায় আট দফায় ভোট নিয়ে তিনি বলেন, এটা বিজ্ঞান ভিত্তি নয়, আক্রোশবশত। অপছন্দের কারণে এত দফায় ভোট। এতে অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষতি হবে।
ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের কালীনগর গ্রামটি কালনা থানার অন্তর্গত হলেও সড়ক পথে এই গ্রামের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। নৌকা পথে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। সড়ক পথে নদীয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও রাস্তা ছিল কাঁচা ও বেহাল। দশ বছর আগে এই গ্রাম ছিল একবারে অনুন্নত। রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ছিল গ্রামের মানুষের কাছে স্বপ্ন। সেই গ্রামে একদশকে পানীয় জল, রাস্তা ও গ্রামে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এছাড়াও কালীনগর গ্রাম থেকে নদীয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা পিচের তৈরি হয়েছে। শনিবার সেই রাস্তার উদ্বোধন করার কথা ছিল সুব্রতবাবুর। নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ায় এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি জনসভা হয় কালীনগর গ্রামে। এছাড়াও এদিন ধাত্রীগ্রাম পোস্ট অফিস মোড়ে পথসভা করে তৃণমূল।