বেহালায় শোভন-বৈশাখীকে কালো পতাকা দেখালেন মানুষ
নিজের পুরনো পাড়াতে গিয়েই বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee)। বেহালায় শোভন-বৈশাখীকে কালো পতাকা দেখানো হল। এদিন রবীন্দ্রনগরে শোভন-বৈশাখী রোড শো ছিল। সেসময়ই তাঁদের কালো পতাকা দেখানো হয়। একাধিক জায়গায় শোভন-বৈশাখীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির সামনে তোলা হয় ‘খেলা হবে’ স্লোগান।
উল্লেখ্য, এর আগেও রোড শো-তে বেরিয়ে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছেন শোভন-বৈশাখী (Baishakhi Banerjee)। কয়েকদিন আগে মহেশতলায় শোভন-বৈশাখীর মিছিলে কালো পতাকা (black flag) দেখানো হয়। সেইসঙ্গে ঝাঁটা, জুতো দেখানো হয়। ধিক্কার প্ল্যাকার্ড, ছি-ছিক্কার স্লোগান চলে সারা রাস্তায়। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেও এখনও বেহালা পূর্বের বিধায়ক পদে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ১৩১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন শোভন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পর বেহালায় শোভনকে দেখা যায়নি।
শোভনের এলাকার দায়িত্ব তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধে তুলে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। বেহালা পূর্ব ও ১৩১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল রত্নাকে।চলতি বছরের শুরুতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের নিজের কেন্দ্রে পা রাখেন শোভন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে ক্ষোভ রয়েছে বেহালা বাসিন্দাদের একাংশের। এদিন সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর ওই বছরের ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দেন শোভন-বৈশাখী (Sovan Baishakhi)। যোগদানের পরই বঙ্গ BJP-র একাংশের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শোভন-বৈশাখীর। শোভন-বৈশাখীকে ‘ডাল-ভাত’ বলে বসেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনাপ্রবাহে ক্ষুব্ধ হন বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত ওই জুটি। এরপর থেকেই BJP-র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শোভন-বৈশাখীর। শেষমেশ দীর্ঘ টালবাহানার পর একুশের ভোটের মুখে গেরুয়া পতাকা হাতে সক্রিয় রাজনীতিতে ফের দেখা যায় শোভনকে।