টিকিট পাচ্ছেন না দলবদলু এই তিন নেতা?
ঠিক ভোটের মুখে তৃণমূল ছাড়ার সময় এদের তিন জনেরই বক্তব্য ছিল – দলে থেকে কাজ করা যাচ্ছেনা। বালির বিধায়িকা বৈশালী ডালমিয়া, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এবং হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী অনেক আশা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল ছেড়ে। ভেবেছিলেন নির্বাচনে টিকিট তো পাবেনই, তার সোজা যোগ হবে আরোও অনেক কিছু।
কিন্তু বিধি বাম! দিল্লি থেকে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এদের তিনজনের কাউকেই নাকি টিকিট দেওয়া হচ্ছেনা ২০২১এর নির্বাচনে। তবে টিকিট না দেওয়ার দরুন বিজেপির রাজ্য কমিটিতে স্থান দেয়া হচ্ছে এই প্রাক্তন বিধায়কদের। অনেকটা ক্রন্দনরত শিশুর হাতে ঝুনঝুনি ধরিয়ে দেওয়ার মত।
বৈশালী ডালমিয়া। বালির বিধায়ক। জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা হওয়ার সুবাদে ২০১৬ সালে মমতা তাকে প্রার্থী করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ বছরে নিজের কেন্দ্রে দেখাই যায়নি তাকে।
প্রবীর ঘোষাল। তিনিও দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। কিন্তু উত্তরপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায় গত ৫ বছরে বিধায়ককে সাধারণ মানুষ তো দুরস্ত, দলের কর্মীরাও কাছে পাননি।
রথীন চক্রবর্তী। হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র। ওনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ একসময় বিজেপিই করত। আজ তিনি গেরুয়া শিবিরে জাজ্বল্যমান।
এর আগে মুকুল রায়কে নিয়েও নানান রকম খবর রটেছিল। তাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েও পাঠানো হয়নি কিছু নেতার অসন্তোষের কারণে, শোনা যায় এরকম গল্পও। শোভন-বৈশাখীকেও প্রতিনিয়ত ‘অপমান’ করা হয় দলের তরফে, এই খবরও প্রায়ই নজরে আসে। সুতরাং, তলার দিকের এই তিন নেতার কি অবস্থা হবে বিজেপিতে আসার পর, সেটা এখনই একটু একটু প্রকাশ পাচ্ছে।