আজ শুরু করোনার গণ টিকাকরণ, ভ্যাকসিন নিলেন মোদীও
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির নতুন উদ্বেগের মধ্যেই আজ, সোমবার শুরু হচ্ছে গণ টিকাকরণ। ষাটোর্ধ্ব যে কোনও নাগরিকের পাশাপাশি ২০ ধরনের তালিকাভুক্ত রোগের শিকার ৪৫-৫৯ বছর বয়সি কো-মরবিড রোগীদের মধ্যে এই পর্বে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলবে। যা কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, স্রেফ সরকারি নয়, কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকার্ডে (Swasthya Sathi CArd) চিকিৎসার সুবিধা মেলে এমন বেসরকারি হাসপাতালেও টিকা মিলবে। এরপর বাংলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধাযুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তো রয়েছেই। এর মধ্যে রাজ্যের সবক’টি মেডিক্যাল কলেজ, সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল সহ বেশ কিছু হাসপাতাল থাকার কথা। পুরোটাই নির্ভর করছে কোউইন অ্যাপের উপর।
সন্ধ্যায় এ খবর জানিয়েছেন রাজ্যের হেলথ ডিরেক্টরেটের টিকাকরণের (Covid Vaccination) শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার। যদিও শহরের এক বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়েছে, অনলাইনের মাধ্যমে এদিনই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা অধিকাংশ জায়গায় চালু থাকবে না। কারণ, কোউইন অ্যাপ খুলছে রবিবার রাত ১২টা নাগাদ। তারপর থেকে সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করলে তবে দিনের দিনে টিকা মিলবে। প্রথমদিন ৫০ জনের বেশি অনস্পট টিকা পাবেন না। স্বাস্থ্যদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, শুধু এই টিকাকরণ পর্ব মেটাতেই চার মাস লেগে যাবে। তার উপর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট। তাই কোনও ক্ষেত্রেই যাতে গোলমাল বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কর্মসূচি শুরু করছে কেন্দ্র।
সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচ হবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি কো-মরবিড টিকাগ্রাহকদের স্বীকৃত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকের থেকে সার্টিফিকেট ও সচিত্র পরিচয়পত্র আনতে হবে। ডাক্তাররা যাতে এই মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে ফিজ না নেন, তার জন্য রাজ্য আইএমএ’র থেকে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজের কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ করোনা টিকা গ্রহণ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সোমবার একটি টুইট করে একথা নিজেই জানান তিনি। এদিন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে গিয়ে টিকা নেন মোদী। ভারতবাসীকে একজোট হয়ে দেশকে করোনা মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘ কোভিড-১৯ -এর সঙ্গে বিশ্ববাসীর লড়াইয়ে যেভাবে দেশের বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা কাজ করেছে তা উল্লেখযোগ্য।’