মাথায় হাত মধ্যবিত্তের,পেট্রল, গ্যাসের পর দাম বাড়তে চলেছে কেরোসিনের
পেট্রল, রান্নার গ্যাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে কেরোসিনেরও। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি মার্চ মাসে যে ইস্যু প্রাইস নির্ধারণ করেছে, তাতে রেশনের কেরোসিনের (Kerosene) দাম লিটারে প্রায় ৩ টাকা করে দাম বাড়তে চলেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় প্রতি লিটারের দাম ছিল ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা। সেটা বেড়ে প্রায় ৩৮ টাকা ছুঁতে চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি প্রতি মাসে রেশনের কেরোসিনের ইস্যু প্রাইস ঠিক করে। তার ভিত্তিতে খাদ্যদপ্তর প্রতি মাসের দামের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ফেব্রুয়ারি মাসে ইস্যু প্রাইস ছিল প্রতি কিলোলিটারে প্রায় ২৮ হাজার ২০০ টাকা। মার্চ মাসে এটা প্রায় ৩১ হাজার টাকা করা হয়েছে। ইস্যু প্রাইসের সঙ্গে ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন, পরিবহণ খরচ, জিএসটি প্রভৃতি যোগ করে কেরোসিনের বিক্রয়মূল্য ঠিক করে খাদ্যদপ্তর। পরিবহণ খরচের পার্থক্য হেতু বিভিন্ন জেলায় কেরোসিনের বিক্রয়মূল্য কিছুটা আলাদা হয়।
গত বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ কলকাতায় প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম লিটারে ১৬ টাকায় নেমে এসেছিল। নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধির ফলে অনেক রেশন গ্রাহক এখন কেরোসিন কিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত। প্রতি মাসেই ২ থেকে ৪ টাকা লিটারে দাম বাড়ছে। বহু গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে কাঠ, কয়লার যুগে ফিরে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, আগামী আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় বাজেটে রেশনে কেরোসিনের ভর্তুকি বাবদ কোনও অর্থ রাখা হয়নি। গত আর্থিক বছরে তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি খাতে থাকলেও বাস্তবে মার্চ মাস থেকে রেশনের (Ration) কেরোসিনে কোনও ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। পেট্রল, ডিজেলের মতো রেশনের কেরোসিনের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের মূল্যের ভিত্তিতে গত বেশ কয়েক মাস ধরে ওঠানামা করছে। পার্থক্য একটাই। পেট্রল, ডিজেলের দাম প্রতিদিন নির্ধারণ করা হয়। কেরোসিনের হয় মাসে একবার।