রান্নার গ্যাসের দাম দিতে কি এ বার রক্ত বেচতে হবে? প্রশ্ন মিমি চক্রবর্তীর
রান্নার গ্যাসের দাম দিতে কি এ বার রক্ত বেচতে হবে দেশবাসীকে? জানতে চাইলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
টুইটারে লিখলেন, ‘সকালে বাড়িতে রান্নার গ্যাস দিতে এসেছিল। দাম শুনেই আমার মূর্ছা যাওয়া দশা’! এরপর হিন্দিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মিমি (Mimi Chakraborty) লেখেন, ‘কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা? আত্মনির্ভর ক্যা এইসা বনেঙ্গে ইন্ডিয়া খুন বেচকে আপনা’।
চার দফায় ২২৫ টাকা বেড়ে কলকাতায় এখন ভর্তুকিহীন সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ৮৪৫.৫০ টাকা দিয়ে। সোমবার থেকেই রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের এই বর্ধিত দাম লাগু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মিমির বাড়িতে এলপিজি গ্যাস (LPG Gas) সিলিন্ডার দিতে আসেন রান্নার গ্যাস সরবরাহকারীরা। তবে বিল মেটাতে গিয়ে দাম শুনে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার অবস্থা হয় তাঁর। ক্ষুব্ধ মিমি এরপর টুইট করে জানতে চেয়েছেন, এভাবেই কি দেশকে আত্মনির্ভর করার কথা ভাবছে কেন্দ্র? যদি তা-ই ভেবে থাকে, তাহলে বোধ হয় নিজেদের রক্ত বেচেই আত্মনির্ভর হতে হবে দেশের জনতাকে।
এক দিকে পেট্রোল-ডিজেল, অন্য দিকে রান্নার গ্যাসের উত্তরোত্তর দাম বাড়া নিয়ে গোটা দেশে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিধানসভা ভোটের মুখে এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রতিটি জনসভায় জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছেন। সম্প্রতিই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানির দাম বাড়ার প্রতিবাদে ইলেকট্রিক বাইকে চড়ে নবান্নে গিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘রান্নার গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা ভাঁওতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্যাপারটা আমজনতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এবার কোথায় যাবেন?’’ পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করেন মমতা। এবার একই সুরে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ মিমিও।