ভোটের আগে পাঁচ নেতাকে পদ তৃণমূলের
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের(TMC) জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া হল কালনা শহরের(Kalna Town) পাঁচ নেতাকে। সোমবার রাতে ওই নেতাদের হাতে পৌঁছেছে দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের(Swapan Debnath) সই করা নিয়োগপত্র। তবে সেগুলিতে তারিখ রয়েছে গত ২০ ফেব্রুয়ারির। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও কয়েকজন নেতাকে জেলা কমিটিতে আনা হতে পারে।
লোকসভা ভোটে কালনা শহরের ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। শহরের বাসিন্দা বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এর পরেই বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এলাকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দল সূত্রের দাবি, ওই নেতারা জানিয়ে দেন, তাঁরা তৃণমূলেই রয়েছেন। বিবাদ ভুলে কালনা শহরে দলের নেতা-কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন রাজ্য নেতৃত্ব। ঐক্যের বার্তা দিতে সম্প্রতি এলাকায় পৃথক গোষ্ঠী বলে পরিচিত নেতা-কর্মীরা কালনায় এক সঙ্গে মিছিলও করেন। এর পরেই পাঁচ নেতাকে নতুন পদ দেওয়ার কথা জানা যায়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ নেতার মধ্যে গোরাচাঁদ পাঠক ও উদয় সেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া কালনার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী, প্রাক্তন কাউন্সিলর আনন্দ দত্ত ও সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা নিউটন মজুমদার জেলা সহ-সভাপতি হয়েছেন। শাসক দল সূত্রের খবর, দলের কালনা শহর সহ-সভাপতি পদে থাকা গোরাচাঁদবাবুকে জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়ার জন্য তদ্বির করেন কালনা পুরসভার প্রশাসক তথা দলের শহর-সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগ। অন্য চার জনের বিষয়ে জেলার এক নেতা তৎপর হন। বাঘনাপাড়ার এক নেতাকে জেলা কমিটিতে নেওয়ার জন্যও কালনা শহর তৃণমূলের তরফে তদ্বির করা হয়েছে বলে দল সূত্রের দাবি।
ভোটের আগে এই নেতাদের জেলা কমিটিতে আনার কারণ কী? দলের একটি সূত্রের দাবি, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বন্ধ ও প্রার্থী ঘোষণার পরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের রেশ যাতে না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। কালনা শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবপ্রসাদবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘যে পাঁচ জন জেলা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন, তাঁরা দক্ষ সংগঠক।’’ দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডুর দাবি, ‘‘কালনা শহরে গোষ্ঠী-কলহ নেই। যাঁদের জেলা কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা যোগ্য।’’ সদ্য জেলা কমিটিতে পদ পাওয়া তৃণমূল নেতাদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দলের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’’