আত্মহত্যা নয়, ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছে রসিকার পরিবার
এবার বিচারের দাবিতে সরব হল রসিকা জৈনের (Rasika Jain) পরিবার। বৃহস্পতিবার রসিকার বাবা-মা, ভাই ও বন্ধুরা দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানান। অভিযোগের তীর মূলত রসিকার শ্বশুরবাড়ির দিকে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রসিকার দেহ। বহুতল থেকে পরে মৃত্যু হয় তাঁর। বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করেছিল পুলিশ। ফলে তদন্তও বেশি দূর এগোয়নি। তবে ঘটনার পর থেকে রসিকার পরিবার শ্বশুরবাড়ির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, রসিকাকে আত্মহত্যায় করতে বাধ্য করা হয়েছিল। বিশেষ করে রসিকার স্বামী কুশল আগরওয়ালকে ওই ঘটনার জন্য দায়ী করেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের চাপেই মূলত বুধবার ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশও।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই একই অভিযোগ করে রসিকার পরিবারের লোকজন দ্রুত তদন্তের দাবি জানান।
গত বছর আলিপুরের রাজা সন্তোষ রায় রোডের ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে রসিকার সঙ্গে বিয়ে হয় আলিপুরেরই ডিএল খান সম্পন্ন ব্যবসায়ীর ছেলে কুশলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রসিকার উপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর স্বামী। মাদকাসক্ত হয়ে তাঁর উপর নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
রসিকার শশুরবাড়ির তরফ থেকে ৭ কোটি টাকার পণও নেওয়া হয় বিয়ের সময় বলে অভিযোগ করে রসিকার পরিবার। এর আগেও বেশ কয়েকবার রসিকাকে তাঁর স্বামীর হিংসার শিকার হতে হয়েছে। গত আগস্ট মাসে স্বামীর অত্যাচারের কারণে ৩ দিনের জন্যে রসিকার চোখের দৃষ্টিও চলে যায়। মৃত্যুর দিন ঠিক এরকমই কিছু হয়েছিল বলে সন্দেহ করছে পরিবার।
তদন্তের ভার স্থানীয় থানা থেকে লালবাজার উইমেন্স গ্রিভ্যান্স সেলে স্থানান্তরিত কড়া হয়েছে। পুলিশের দাবি তদন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজও যোগাড় কড়া হয়েছে। অভিযুক্তদের পরিবার কলকাতার বাইরে। তাদের কারো সাথে এখনো যোগাযোগ কড়া যায়নি।