বর্ষীয়ান নেতাদের নিয়ে আবার বিধান পরিষদ চালু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যেসব প্রবীণ, বর্ষীয়ান নেতারা বিভিন্ন কারণে বিধানসভার টিকিট পান নি তাদের বিধান পরিষদে রাখা হবে বলে জানান তৃণমূলের(TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, দলের দায়িত্ব পালনের জন্যে পূর্ণেন্দু বোস(Purnendu Bose) এবং শারিরীক অসুস্থতার কারণে অমিত মিত্র(Dr Amit Mitra) এবার আর বিধানসভায় লড়বেন না। তাই তাঁদের নাম বিধান পরিষদের (Bidhan Parishad) জন্যে প্রস্তাব করবে দল।
ভারতের ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র ৬ টির বিধান পরিষদ আছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ ১৯৫২ সালে গঠিত হয়। ইউনাইটেড ফ্রন্ট সরকারের সময় ১৯৬৯ সালে ভেঙে দেওয়া হয় এই পরিষদ।
বিধানসভারই উচ্চ কক্ষ বিধান পরিষদ। প্রতিনিধিদের সময়কাল ৬ বছর। এখানকার এক তৃতীয়াংশ প্রতিনিধি ২ বছর পর অবসর নেন। বিধানসভার এক তৃতীয়াংশের চেয়ে বেশি হতে পারে না বিধান পরিষদের প্রতিনিধি সংখ্যা। আবার ৪০ জন সদস্যের চেয়ে কমও হতে পারবে না।
বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। বাকি এক তৃতীয়াংশ বিধায়করা, এক ষষ্ঠাংশ রাজ্যপাল। অর্থ আইন পাশের ক্ষেত্রে বিধান পরিষদের কোন কার্যকারিতা নেই, তা সংবিধানের ১৬৮ নম্বর ধারায় বলা আছে।