দলবদলু দীনেশ ত্রিবেদীকে আক্রমণ তৃণমূলের
কিছুদিন আগেই বলেছিলেন তৃণমূলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিল। দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলেও জানিয়েছিলেন। ছাড়েন রাজ্যসভার সদস্যপদ। তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও ত্যাগ করেন সেই সঙ্গে। জল্পনা তখন থেকেই ছিল। শনিবার রাজধানীতে বিজেপির কার্যালয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।
এরপরেই দীনেশ ত্রিবেদীকে পাল্টা অকৃতজ্ঞ বলে আক্রমণ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দীনেশ ত্রিবেদী কোনও জননেতা নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে রাজনীতিতে লড়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী করেছিলেন। লোকসভা ভোটে হারার পর রাজ্যসভায় সাংসদও করেছিলেন। এরপর তিনি তৃণমূলের নীতি-আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এঁদের কাছ থেকে দলকে এটা পেতে হচ্ছে, সেটাই দুর্ভাগ্যের।’
দীনেশ ত্রিবেদীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোনদিকে মোড় নিতে চলেছে তা অনেকেই আগেভাগে আন্দাজ করে নিয়েছিলেন। রাজ্যে যেভাবে দলবদলের পালা চলছে, দীনেশ ত্রিবেদীও যে সেই স্রোতেই গা ভাসাবেন এমন অনুমান অনেকেই করেছিলেন। দীনেশ ত্রিবেদী নিজেই সেই জল্পনা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গতমাসেই তিনি বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ তাঁর অনেক দিনের পুরানো বন্ধু। বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ভুল কিছু নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।