আজ মমতার মহামিছিল শিলিগুড়িতে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ, রবিবার দুপুরে শিলিগুড়িতে ‘সিলিন্ডার মিছিল’ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়েছে মধ্য-নিম্নবিত্তের হেঁসেলে। সেই হেঁসেলের ভার যাঁদের কাঁধে, বাংলার সেই মা-বোনেরা মূল্যবৃদ্ধির জেরে দুর্ভোগের সম্মুখীন। দাম বৃদ্ধিতে জেরবার সেই মা-বোনদের সঙ্গে নিয়েই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে দার্জিলিং মোড় থেকে হিলকার্ট রোড ধরে হাসমিচক (ভেনাস মোড়) পর্যন্ত মিছিল করবেন মমতা। মিছিলে প্রতীকী গ্যাস সিলিন্ডার বহন করবেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই সাধারণ মানুষের ইস্যু নিয়ে মিছিল। উত্তরবঙ্গে জোরদার প্রচারপর্বের সূচনায় এটাই হতে চলেছে তৃণমূল (Trinamool) সুপ্রিমোর ব্রহ্মাস্ত্র।
কলকাতা থেকে শনিবার বিকেলে বাগডোগরায় নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন তৃণমূলের মহিলা শাখার রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিমানবন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন মানুষের সবচেয়ে বড় ইস্যু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। তার প্রতিবাদেই কাল বেলা একটায় দার্জিলিং মোড়ে জমায়েত হচ্ছে। সেখান থেকে দু’টোয় মিছিল শুরু হবে, মিছিলে হাঁটব। গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা সিলিন্ডার নিয়ে মিছিল করব। মাত্র ক’মাসে গ্যাসের দাম বেড়ে প্রায় ৮৫০ টাকা হয়েছে। ভাবতে পারেন, চাল বিনা পয়সায়, আর রান্নার গ্যাসের (Cooking Gas) দামে আগুন! এরই প্রতিবাদে আমি উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচার শুরু করছি।’ রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার শুক্রবারই শিলিগুড়ি পৌঁছে যান। শনিবার পদযাত্রার রুট খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মাল্লাগুড়িতে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদযাত্রা শুরু করবেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার বলেন, দার্জিলিং মোড়ে সবাই জমায়েত করবেন। মু্খ্যমন্ত্রী মাল্লাগুড়ির মৈনাক অতিথি নিবাসের সামনের মঞ্চে থাকবেন। পদযাত্রা শেষ হবে হাসমিচকে। তারপর সেখানে সভায় বক্তব্য রাখবেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই পদযাত্রাকে বিরোধী শিবির ভোট প্রচার হিসেবে দেখলেও, ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু এই পদযাত্রার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন। তাদের ধারণা, শিলিগুড়ির রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মহিলার পদধ্বনি সমাজের কাছে নারীশক্তির জাগরণ তথা স্বশক্তিকরণের বার্তা দেবে। মহিলাদের সুরক্ষা ও স্বনির্ভরতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে বড় ভরসা, সেই দিকটিও প্রতিষ্ঠিত হবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।