← রাজ্য বিভাগে ফিরে যান
নন্দীগ্রামে মমতা – লাইভ আপডেট
নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচার শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জমি আন্দোলনের যে ভূমি থেকে উত্থান, সেখান থেকেই এ বছর নীল বাড়ির লড়াইয়ে শামিল হচ্ছেন তিনি। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন যিনি।
নন্দীগ্রামে স্টেট ব্যাঙ্কের পিছনে একটি মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ সেখানে নামে তাঁর কপ্টার। পাশের একটি জমিতেই সভা রয়েছে তাঁর। সাধারণ মানুষ তাতে শামিল হলেও, ওই সভার নাম রাখা হয়েছে কর্মিসভা।
নন্দীগ্রাম (Nandigram) সফর থেকেই বুধবার হলদিয়ায় মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন মমতা। দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে ভোট। তার আগে ফের নন্দীগ্রামে দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাইভ আপডেট:
- ০৩.৩৭: এটা জনসভা নয়। ১০ হাজার বুথকর্মীকে আজ ডেকেছি তাদের সঙ্গে কথা বলব বলে
- ৩:৩৮: নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য আমি রাষ্ট্রপতির কাছে গেছি
- ০৩:৩৯: ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম, তাই নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালাম
- ০৩:৪০: আমি নিজে গ্রামের মেয়ে। গ্রামের প্রতি আমার ভালোবাস আছে। ছোটবেলায় আমি গ্রামে যেতাম, তাই টান আছে।
- ০৩:৪১: সে সময় আমার অপারেশন হয়েছে, তাও আমি এসেছিলাম। আমার গাড়িতে পেট্রল বোমা মারার ষড়যন্ত্র করেছিল
- ০৩.৪২: সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম, যে কোনও একটা জায়গায় দাঁড়াব ভেবে রেখেছিলাম। কারণ দু’টোই আন্দোলনের পীঠস্থান
- ০৩:৪৩: আপনাদের মনে আছে, ১৪ মার্চ গুলি চলেছিল। অপারেশন হয়েছিল। বেরোতে বারণ করেছিলেন ডাক্তাররা। তা-ও বেরিয়ে চলে এসেছিলাম। আমার গাড়িতে সে দিন পেট্রোল বোমা মেরেছিল। সে দিন কেউ ছিল না। আমি কিন্তু রাস্তায় বসেছিলাম। নন্দীগ্রামে যাবই বলে দিয়েছিলাম। রাজ্যপাল ফোনে বলেছিলেন, আপনাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে
- ০৩:৪৩: নন্দীগ্রাম ব্লক ১ এবং ব্লক ২, দু’জায়গাতেই সভা করে দেখিয়ে দেব। অনেকে বলবেন দল ভাঙানোর চেষ্টা। বলবেন ৭০-৩০। বলে দেবেন আমরা ১০০
- ০৩.৪৮: তখন আমি স্কুটারে চলে নন্দীগ্রাম চলে এসেছিলাম। তা বুঝেই উঠতে পারেনি সিপিএম। তমলুক থেকে চণ্ডীপুর চলে এসেছিলাম, যেখানে সোহম দাঁড়িয়েছে। সেখানেও গাড়ি আটকে দিল। কুমন্তব্য করা হচ্ছিল। তার পর ঠেলে ঠেলে নন্দীগ্রামে এসেছিলাম। তারপর কী ভাবে মারধর করা হয়, লাঠিচার্জ করা হয়, আপনারা দেখেছেন। সেখান থেকেই বাংলা জুড়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলন করলাম
- ০৩: ৪৯: আমি বাংলার লোক, আমাকে বহিরাগত বলছে? আমার বাড়ি বীরভূমে। আমি হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমাকে হিন্দু-মুসলমান শেখাবেন না, আমি চন্ডীপাঠ করে বাড়ি থেকে বেড়োই
- ০৩.৫২: সংখ্যালঘুদেরও মসজিদ রয়েছে, দরগা রয়েছে, খ্রিস্টানদের গির্জা রয়েছে। আমার সঙ্গে হিন্দুধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে বলবেন। হিন্দু ধর্মের আদর্শ মানুষকে ভালবাসা। বিবেকানন্দ হিন্দুধর্ম শিখিয়েছেন
- ০৩.৫৫: আজ সহকর্মীদের বলব, আপনারা দলের সম্পদ। আপনারা যদি মনে করেন, আমার দাঁড়ানো উচিত নয়, বলে দিন। কাল মনোনয়ন আছে, জমা দেব না। চলে যাব। আর যদি ঘরের মেয়ে মনে করেন, তাহলে মনোনয়ন জমা দিয়ে যাব
- ০৩.৫৬: নন্দীগ্রামের মানুষরাই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। নন্দীগ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরতে দিল্লি, মুম্বই গিয়েছি। নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়ালাম। ঘরের কেন্দ্র ছিল ভবানীপুর। কিছুই করতে হত না। মনে রাখবেন, যে দিন শেষ এসেছিলাম। তখন এখানে আসনটা খালি ছিল। পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিল। তখন বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে কেমন হবে। দেখতে চাইলাম আপনারা কী বলেন। আপনারা বললেন ভাল হবে। আপনাদের সেই ভালবাসা, উন্মাদনা দেখে বুঝেছিলাম এটাই আমার নন্দীগ্রামের দু’চোখ
- ০৩.৫৭: আগামীদিন নন্দীগ্রামকে মডেল নন্দীগ্রাম করতে চাই। ব্রিজ দিয়ে নন্দীগ্রামকে হলদিয়ার সঙ্গে জুড়ে দেব
- ০৩:৫৮: আমি পকেটে টাকা গুঁজে রাজনীতি করিনা। আমি আত্মা দিয়ে, আশীর্বাদ দিয়ে রাজনীতি করি। পয়লা এপ্রিল খেলা হবে। ভোটের দিন ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন
- ০৩. ৫৯: আমার সঙ্গে ধর্ম নিয়ে নামবেন? ধর্ম নিয়ে খেলবেন? খেলা হবে? মুখস্ত করে এসে বুলি আওড়ায়। এখানে হাসপাতাল কে গড়েছে, রাঙাহাট কে তৈরি করেছে, স্বর্ণময়ী কলেজ করেছি, শহিদবেদি , কিসান মাণ্ডি, ৭০০ কোটি টাকার জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। তা ছাড়াও হলদিয়ার সঙ্গে নন্দীগ্রামকে ব্রিজ তৈরি করে জুড়ে দেব
- ০৪:০০: আমার ভবানীপুর গিয়ে দেখে আসবেন। নন্দীগ্রামে কোনও ঘরে বেকার থাকবে না। শিক্ষায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। শহিদদের স্মরণ করে এ বারের ইস্তেহারে বিশ্ব বিদ্যালয় রাখছি
- ০৪:০১: নানারকম চক্রান্ত চলছে, চলবে। পা দেবেন না। দু’ঘরের বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। এক বছরে আসব। আমি নিজে পরে একটা কুঁড়েঘর বানাব নন্দীগ্রামে। মনে রাখবেন, কথা দিলে কথা রাখি আমি। আমি ভাঁওতা দিয়ে, রাজনীতি করি না
- ০৪.০২: শাসানি দিচ্ছে, বলছে, এলাকা ছেড়ে চলে দিতে। আমি সকলের ভাল চাই। এমন কিছু বলবেন না, যা কটূ শোনায়। আমিও অনেক কিছু জানি, কিন্তু বলি না। সিপিএম-এর অনেককে বিজেপি নিয়ে এসেছে। হিন্দু-মুসলিম ভাই-বোনেরা জেনে রাখুন, অত্যাচারী লক্ষন শেঠের সঙ্গে যারা কাজ করেছিল, তাদের নিয়ে অত্যাচারের পরিকল্পনা করছে। মামলা নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। বলবেন, যা করার করে নাও দু’মাসে। আর ৭-১০ দিন পরে কোথায় যাবে ভেবে নাও