আজ হরিয়ানায় অনাস্থা ভোট, সঙ্কটে বিজেপি সরকার
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপি(BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে দল ক্ষমতায় থাকা দুই রাজ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতা। দলীয় বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বিদ্রোহের কাছে মাথানত করে মঙ্গলবারই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতকে সরিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা(Amit Shah -JP Nadda)। উত্তরাখণ্ডের সঙ্কট মোকাবিলা করার আগেই আজ বুধবার হরিয়ানায়(Haryana) সরকার বাঁচাতে কোমর কষে ঝাঁপাতে হয়েছে তাঁদের। শেষ পর্যন্ত হরিয়ানায় বিজেপির সরকারের মুখরক্ষা হবে কিনা, তা লাখ টাকার প্রশ্ন।
কৃষক আন্দোলনের জেরে গত কয়েক মাস ধরেই কার্যত ল্যাজেগোবরে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই কৃষক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। নিজেদের রাজনৈতিক ভিত্তি অটুট রাখতে কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের প্রাণভোমরা দুষ্যন্ত চৌতালা জননায়ক জনতা পার্টি। আর সুযোগ বুঝেই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস। আজ বুধবার সকাল দশটা থেকে সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে হরিয়ানা বিধানসভায় আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। পরে ভোটাভুটি।
জোট সরকারকে বিপাকে ফেলতে কোমর কষে নেমেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা। বিধানসভায় বিধায়কদের শক্তির বিচারে বিজেপি সরকারের পাল্লাভারী হলেও কৃষকদের স্বার্থরক্ষার দোহাই পেড়ে শাসক শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এমনকী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত চৌতালার(Dushyant Chautala) দলের বিধায়করাও মঙ্গলবার বিকাল থেকে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। দলের নেতা দুষ্যন্ত চৌতালাকে অবিলম্বে বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছেন তাঁরা।
অনাস্থা প্রস্তাবকে ঘিরে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে তার জন্য দলের ৩৯ বিধায়ককে আজ বিধানসভায় হাজির থাকার ও প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য হুইপ জারি করেছে বিজেপি। জোট সরকারের শরিক দল জেজেপি ও আনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকেও নিজ নিজ বিধায়কদের সভায় হাজির থাকার জন্য হুইপ জারি করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা(Bhupendra Singh Hooda) মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কারা প্রকৃত কৃষক দরদী আর কারা কৃষক দরদী সাজার ভান করে যাচ্ছেন, তা আজ আনাস্থা ভোটেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের দাবি, ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে কংগ্রেস যে আনাস্থা প্রস্তাব এনেছে তা মুখ থুবড়ে পড়বে।’ তবে দু’পক্ষই ভোটাভুটি না হওয়া পর্যন্ত হাত পা গুটিয়ে বসে থাকছে না।