বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দলীয় কর্মীদের
মঙ্গলবার তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সায়ন্তিকা(Sayantika Banerjee) বাঁকুড়ায়(Bankura) ঢুকতেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙল। এদিন তৃণমূল প্রার্থী প্রথমেই যান ময়ামায়া মন্দিরে। বাঁকুড়া শহরের বাজারের মধ্যে তখন তাঁকে দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। মন্দিরে প্রণাম সেরে সায়ন্তিকা পৌঁছে যান প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্রের বাড়ি। সেখানে কাশীনাথবাবুর ছবি বুকে নিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজনীতিতে অগ্রজকে নবাগতের এই শ্রদ্ধা বাঁকুড়া শহরবাসীকে কিছুটা হলেও আপ্লুত করেছে। অনেকেই বলছেন, এমনটাই হওয়া উচিত। তবে নিজের সিনেমার ডায়লগ আওড়ে প্রথমদিন বিজেপিকে হুঙ্কার ছাড়তেও ভোলেননি তৃণমূল প্রার্থী।
এবার বিধানসভা নির্বাচনেও বাঁকুড়া কেন্দ্রে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন শহরের প্রাণ কেন্দ্রে মহামায়া মন্দিরে অভিনেত্রীর আসছেন খবর পেয়ে অনেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। কেউ বাজার করতে এসে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে পড়েন। মহিলারা আবার রান্না ছেড়ে অভিনেত্রীকে দেখতে ভিড় করেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ সায়ন্তিকা সেখানে এসে পৌঁছন। জনতাকে অভিবাদন জানান তৃণমূল প্রার্থী। কারও কারও অনুরোধে সেলফিতেও মুখ দেখান তিনি। তারপরই সেখান থেকে চলে যান রামপুরে প্রাক্তন বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্রর বাড়ি। কাশীনাথবাবুর স্ত্রী মিনতিদেবীও বিধায়ক ছিলেন। এদিন দুপুরে সায়ন্তিকার আসার খবর পেয়ে উঠানে বসেছিলেন মিনতিদেবী। কাশীধামের বাইরেও ভিড় থিকথিক করছিল। সায়ন্তিকা পৌঁছতেই মিনতিদেবী তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। সায়ন্তিকা তাঁকে প্রণাম করে আশীর্বাদ চান।
সায়ন্তিকাকে চুম্বনে ভরিয়ে দেন প্রাক্তন বিধায়ক। প্রয়াত কাশীনাথবাবুর ছবিতেও সায়ন্তিকা শ্রদ্ধা জানান। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই মনে করছেন, যেন বাড়ির মেয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। সায়ন্তিকার আচরণে মিনতিদেবীও যে খুশি, তা তিনি গোপন করেননি। এরপর তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, বাঁকুড়ায় এসে আগে ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু, এদিন মুগ্ধ হয়েছি। মহামায়া মন্দিরে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন সবাই দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পাশে থাকতে পারি। আমি খুব সৌভাগ্যবতী যে বাঁকুড়ার মানুষের পাশে থাকার সুযোগ পেয়েছি।