কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বিজেপির সমাবেশের পর নজিরবিহীন দূষণ ব্রিগেডে

March 10, 2021 | 2 min read

উড়ছে ধুলো। মরছে ঘাস। বাড়ছে দূষণ (Pollution)। ভোটযুদ্ধে ময়দান মুখ ঢেকেছে ধুলোয়। সোমবার সকালের দিকে তো এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে উলটো দিকটাও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছিল না। মুখে বাঁধতে হচ্ছিল রুমাল। বেলা বাড়তে তবু কিছুটা কাটে তা।

গত সপ্তাহে গিয়েছে বামেদের ব্রিগেড। আর এই রবিবার বিজেপির। জোড়া ব্রিগেডের চাপে অসহায় অবস্থা ময়দানের। পায়ের তলায় পিষ্ট ঘাস। সবাই মৃত। আর ঘাস মরে যাওয়াতেই ধুলো উড়ছে ব্রিগেডে। সহনসীমার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সূক্ষ্ম ও অতি সূক্ষ্ম কণা বাতাসে ভাসছে। সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ১০ শ্বাসযন্ত্রে ও অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ সরাসরি ঢুকছে ফুসফুসে। তাতে নানা ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে মানবদেহে। আর পায়ে পায়ে আক্রান্ত পরিবেশও। ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে দূষণ। পরিবেশবিদরা যা দেখে শঙ্কিত।

পরিবেশবিদদের কথায়, সারা রাজ্যের মানুষের পায়ে পায়ে এই শহরে এসে জমা হয়েছে ধুলো। যা রবিবার দিনভর উড়েছে। ছিল সোমবারও। ঘাসের ধুলো টেনে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে। কিন্তু পায়ের চাপে সেগুলোর আস্তরণটাই মাটি থেকে উঠে যায়। এমনিতেই এই সময় শুষ্ক আবহাওয়া। তার উপর ময়দানে ঘাসের আস্তরণটা উঠে গেলে ধুলো উড়তে থাকে। সেটাই হয়েছে এবার। একটা ব্রিগেডের পর অন্তত মাসখানেকের যদি ব্যবধান থাকে, তাহলেও মরে যাওয়া ঘাসের জায়গায় নতুন ঘাস জন্মায়। কিন্তু ভোটের সময় তা হয় না। তাছাড়া শুধু ব্রিগেড নয়। শহরের একাধিক জায়গাতেই রাজনৈতিক দলের নিত্য-নৈমিত্যিক মিছিল-মিটিং লেগে থাকে। আর তা থেকে পায়ে পায়ে উড়তে থাকে ধুলো।  রবিবার ফোর্ট উইলিয়ামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে যে দূষণের মাত্রা ছিল তা বেশ খারাপ। নিয়ম অনুযায়ী ১০১-২০০ পর্যন্ত দূষণের মাত্রা যদি থাকে তবে তা খারাপের দিকেই। রবিবার দিনভর সেই মাত্রা ওঠা-নামা করেছে ১৯২ থেকে ২০০-র মধ্যে। তবে সোমবার সেই পরিমাণটা কিছুটা কমেছে। যে দূষণটা অবশ্য ছড়িয়েছে তার বেশিরভাগটাই এই ধূলো থেকে। সোমবারও এর মাত্রাটা ছিল অনেকটাই। ১২৪ থেকে ১৩০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Pollution, #Brigade Rally Of Kolkata

আরো দেখুন