কৃষ্ণনগরে কৌশানীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দলীয় কর্মীদের
মঙ্গলবার বিকেলে কৃষ্ণনগরে(Krishnanagar) আসেন অভিনেত্রী তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল(TMC) প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়(Koushani Mukherjee)। শহরে পা রেখেই ছাত্র, যুব, মহিলা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পাশে থাকার আবেদন জানান তিনি। এদিন অস্থায়ীভাবে কৃষ্ণনগরে ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) আমাকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভাকে বেছে নেওয়াটা আমারই পছন্দ ছিল। কারণ আমার প্রথম সিনেমা শ্যুটিং কৃষ্ণনগর থেকেই শুরু করেছিলাম। তাছাড়া রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরে আমার একাধিক আত্মীয় আছেন। তাই কৃষ্ণনগরের মন জয় করে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে তিনি টলিউড নায়িকা কৌশানীর উপর ভরসা রেখেছেন। তারপর এদিন প্রার্থীর আসার খবর পেতেই বিকেল ৩টে থেকে ওই হোটেলের সামনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। বিকেল ৪টের দিকে প্রার্থী পৌঁছতেই ফুল, মালা ও স্লোগানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। চলে সেলফি তোলার পর্বও।
সাংবাদিক বৈঠক শেষে কৃষ্ণনগর শহরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, যুব, মহিলা নেতৃত্ব সহ প্রত্যেক স্তরের শহর এবং ব্লক সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কৌশানী। কীভাবে তিনি প্রচারের কাজ চালাবেন, কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে, গোটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গত দশ বছরের উন্নয়নকে সামনে রেখে কীভাবে প্রচার করতে হবে তা প্রত্যেককে আলাদা আলাদা দায়িত্ব ঠিক করে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আজ, বুধবার সকালে শহরের দু’-তিনটি মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি জোরকদমে প্রচার শুরু করে দেবেন।
ঐক্যবদ্ধভাবে কৃষ্ণনগর শহরের মানুষের মন জয় করব। শুধু তৃণমূল কংগ্রেস বা সাধারণ মানুষ নয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলের মানুষদেরও মন জয় করাই আমার লক্ষ্য। আমার বিধানসভা এলাকার মানুষের জন্য কাজ এবং সিনেমা জগৎ দুটোকেই আমি এক সঙ্গে সমান্তরালভাবে চালানোর চেষ্টা করব।
সেলিব্রিটি হয়ে ভোটের পরে তিনি আদৌ কী কৃষ্ণনগরে থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তর কৌশানী বলেন, রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগরে আমার আত্মীয়ের বাড়ি। কৃষ্ণনগর আমার বাড়ি বলা চলে। সুতরাং এই কৃষ্ণনগর সহ গোটা রাজ্যের মানুষ আমাকে সেলিব্রিটি করেছেন। আমি নিজে সেলিব্রিটি নই, আমি সাধারণ ঘরের মেয়ে। ভোটের পরে মানুষের সুখে দুঃখে আমি থাকব। আমাকে সকলে বিশ্বাস করতে পারেন।
তৃণমূলের এক কর্মী বলেন, এতদিন আমরা ওঁকে রুপোলি পর্দায় অভিনয় করতে দেখেছি। এবার খুব কাছ থেকে দেখলাম। কয়েকদিন ধরেই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন চলছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর অভিনেত্রী প্রার্থীর নাম লেখা চলছে। এবার আমরা আরও বেশি করে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমরা দিদিকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।