২৬ মার্চ ভারত বন্ধের ডাক
মোদি সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ততদিন কৃষক আন্দোলন চলবে। দ্বিতীয় মোদি সরকারের মেয়াদ শেষ হতে প্রায় সাড়ে তিন বছর বাকি। ততদিন পর্যন্ত কৃষকরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসতে পিছপা হবেন না। বুধবার একথা জানিয়েছেন কৃষক নেতা নরেন্দ্র টিকায়েত। তিনি আরও বলেন, কোনওভাবেই এই আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। পাশাপাশি, আগামী ২৬ মার্চ ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। প্রসঙ্গত, প্রয়াত কৃষক নেতা মহেন্দ্র সিং টিকায়েতের ছেলে হলেন নরেন্দ্র।
১৯৮৬ সালে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ) তৈরি করেছিলেন মহেন্দ্র। তাঁর মৃত্যুর পর দলের দায়িত্ব তুলে নেন মহেন্দ্রর দুই ছেলে নরেশ এবং রাকেশ। দলে কোনও পদ না থাকলেও দুই ভাইয়ের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন নরেন্দ্র। ইতিমধ্যে আন্দোলনকে সামনে রেখে তহবিল সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে টিকায়েত পরিবারের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র বলেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে টিকায়েত পরিবার কৃষি আন্দোলন থেকে সরে আসবে। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা নিয়ে অনড় কেন্দ্র। কিন্তু, টিকায়েতরা নতি স্বীকার করতে নারাজ। নরেন্দ্রর কথায়, সরকার কোনও আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করেনি বলেই একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। আসলে তারা কোনও বড় প্রতিরোধের সামনে পড়েনি। প্রয়োজনে আমরা এই সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এদিকে, কৃষক বিক্ষোভের কথা মাথায় রেখে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। ২৬ জানুয়ারি নজিরবিহীন কৃষক বিক্ষোভের সাক্ষী ছিল দিল্লি। কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালি পৌঁছে গিয়েছিল লালকেল্লাতেও। এই অবস্থায় দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় নিরাপত্তা জোরদার করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিন অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে রেড্ডি বলেন, কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ রুখতে রাস্তা খোঁড়া হয়নি। দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ৩৮টি মামলা দায়ের হয়েছে।