মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে টোটোয় প্রচার তৃণমূল প্রার্থীর
আসন্ন বিধানসভা ভোটে পেট্রল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিই (Fuel Price Hike) এবার প্রচারে তৃণমূলের হাতিয়ার। এনিয়েই অভিনব প্রচারে নামলেন লাভপুরের প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ (Abhijit Sinha)। বুধবার টোটোয় সওয়ারি হয়ে মিছিল করেন তিনি। পাশাপাশি লাভপুরের চৌহাট্টা-মহোদরী দু’নম্বর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারও সারেন তিনি। তবে তাঁর এই প্রচারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিস ওঝা। তিনি বলেন, এসব প্রচারের নামে নাটক ছাড়া আর কিছু না। যদিও প্রচারে যেভাবে সাধারণ মানুষের সাড়া মিলছে তাতে তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ জেতার ব্যাপারে প্রচণ্ড আশাবাদী।
এদিন সকালে নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল (Trinamool) প্রার্থী লাভপুর থানার চৌহাট্টা মহোদরী দু’নম্বর পঞ্চায়েতের তাঁতিনাপাড়া, মহোদরী, ঈশানপুর, আদিবাসীপাড়া প্রভৃতি জায়গায় টোটো চালিয়ে পেট্রপণ্যের মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি স্থানীয় ভোটারদের কাছে তৃণমূল সরকারের ৬৯টি জনমুখী প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে গ্রামের মহিলা সহ সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেন অভিজিৎবাবু। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহোদরী, ঈশানপুর, আদিবাসীপাড়া প্রভৃতি গ্রামে যেতেই গ্রামের মহিলারা পুষ্প বৃষ্টি করে তাঁকে বরণ করে নেন। এদিন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে উঠে ভাষণ দেন তিনি। অভিজিৎবাবু বলেন, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আছেন আমাদের বাংলার। তিনি আপনাদের মতো সাধারণ জীবন যাপন করেন। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা নির্বাচনের আগে এসে বাংলার মানুষকে অবিরত বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মানুষ জানেন গত ১০বছরে কীভাবে তৃণমূল সরকার তাঁদের পাশে থেকেছে ও কী কাজ করেছে। তাই ফের মানুষের সেবা করতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চান। আর এটা আপনাদের সাহায্য ছাড়া অসম্ভব। পাশাপাশি সতর্ক করে বলেন, বিজেপি যদি বাংলায় আসে তাহলে এখানকার কৃষ্টি সংস্কৃতি সব শেষ করে ছাড়বে। গোটা বাংলায় অন্ধকার নেমে আসবে।
নির্বাচনী প্রচারে এসে গ্রামের মানুষের কাছে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আদিবাসী ভাইবোনেরা আমাকে ছাড়তে চাইছে না। এখানকার যিনি আদিবাসী সর্দার তিনি সবসময় আমার সঙ্গে প্রচারে ছিলেন। তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, বছরভর যাঁদের মানুষের পাশে দেখা যায় না, তাঁরাই ভোট এলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন ১০বছরে বাংলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কী করেছেন। পাশাপাশি পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনি বলেন, গাড়িতে তেল ভরতে গেলে মানুষের হাতে ছ্যাকা লাগছে। রান্নার গ্যাসের দাম দিতে বাড়ির কর্তা-গিন্নির মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড়। সাধারণ মানুষ নির্বাচনেই এর জবাব দেবেন। তাই আজ প্রতিবাদে টোটোয় প্রচারের কাজ সেরেছি। এনিয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিস ওঝা বলেন, রাজ্যবাসীর উপর ওদের যদি এতই দরদ তাহলে পেট্রপণ্যের উপর রাজ্য যে কর পায় তা তুলে দিলেই তো রান্নার গ্যাস সহ পেট্রল ডিজেলের দাম বাংলায় সাধারণ মানুষের নাগালে থাকবে। ভোটে ওরা কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছেন অথচ টোটোয় ঘুরে নির্বাচনী প্রচারে নাটক করছে। মানুষ সব বোঝেন। তাঁদের আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।