রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাম জমানায় ভিক্ষাজীবীর সংখ্যা দেশে সর্বাধিক বাংলায়, কমেছে মমতার আমলে

March 12, 2021 | 2 min read

বাম সরকার থেকে চলে যাওয়ার ১০ বছর হয়ে গেল। কিন্তু তাদের রেকর্ড এখনও রাজনৈতিক চর্চার বিষয় হয়েই রইল। দেশের ভিক্ষুকদের এই জীবিকা থেকে সরিয়ে এনে কোনও পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে কি না, এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল রাজ্যসভায়। বুধবার ওই প্রশ্নের উত্তরে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার যে লিখিত  তথ্য ও বিবৃতি পেশ করেছে, সেখানে জানা যাচ্ছে, ভিক্ষুকের সংখ্যায় দেশের মধ্যে বামফ্রন্ট সরকার রেকর্ড করেছিল। 


কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার রাজ্যসভায় জানিয়েছে, ২০১১ সালের সরকারি তথ্য অনুযায়ী গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ভিক্ষুক ছিল পশ্চিমবঙ্গে। ওই গণনা অনুযায়ী দেশে ছিল ৪ লক্ষেরও বেশি ভিক্ষুক। রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভিক্ষুকের সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ছিল শীর্ষস্থানে। সংখ্যা ৮১ হাজার ২৪৪ জন। পশ্চিমবঙ্গের পরেই ভিক্ষুকের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ। ৬৫ হাজার ৮৩৫ জন। তৃতীয় স্থানে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। সংখ্যা ৩০ হাজার ২১৮ জন। ২৯ হাজার ৭২৩ জন নিয়ে বিহারের স্থান ছিল চতুর্থ। ২০১১ সা঩লেই হয়েছে শেষ বার জনগণনা। 


এবার আবার ২০২১ সালে জনগণনা শুরু হবে। সুতরাং ১০ বছরে ভিক্ষাবৃত্তির সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান কতটা পরিবর্তন হল, সেটা জানা যাবে সেন্সাসের রিপোর্ট প্রকাশ হলে। তবে  জনগণনা না হলেও ভিক্ষুকের সংখ্যা যে পশ্চিমবঙ্গে অনেক কমে এসেছে, সেটা স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পে। বিজু জনতা দলের রাজ্যসভার সদস্য প্রসন্ন আচার্য রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেছিলেন, দেশের ভিক্ষুকদের মূলস্রোতের জীবিকায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার কোনও সরকারি প্রকল্প রয়েছে কি না। সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় বলা হয়েছে, এরকম কোনও সমন্বিত প্রকল্প সামগ্রিকভাবে নেই। তবে ১০টি শহরকে বাছাই করা হয়েছে।  রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে সেই শহরগুলির তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের একটিও শহর নেই। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আমেদাবাদ, লখনউ, পাটনা, ইন্দোর, চেন্নাই, মুম্বই এবং নাগপুরকে নিয়ে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে জানিয়েছে সরকার। 


আজ যখন ২০২১ সালের ভোটের প্রচার তুঙ্গে উঠেছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছরের সরকারের পারফরম্যান্সের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি সরব সিপিএম। ঠিক এরকমই সময় রাজ্যসভায় পেশ করা এই তথ্য যে সিপিএমের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর সেটা বলাই বাহুল্য। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#mamata

আরো দেখুন