দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আচমকাই ভূমিপুত্র সাজছেন তিনি, শুভেন্দুর উপর ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রাম

March 12, 2021 | 2 min read

শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) আজ তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। নন্দীগ্রাম(Nandigram) থেকে তিনি বিধানসভা ভোটে লড়ছেন। বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ক্রমাগত তিনি বলে আসছেন তিনি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। নন্দীগ্রামের বহু স্থানে এই পোস্টার পড়েছে যেখানে শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র বলে দাবী করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ অন্য কথা বলছে। হলদিয়া থেকে শুরু করে নন্দীগ্রামের মানুষ বলছেন তিনি কখনোই সেখানকার ভূমিপুত্র নন।

যেমন আহমদুল্লাহ খান। তিনি বলেন , ‘আমি ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কর্মী।’ এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু বেইমান, উনি মিরজাফর, উনি মিথ্যাবাদী। উনি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্রই নন। ওনার বাড়ি কাঁথিতে। উনি যখন প্রথমবার যখন তমলুকে এমপি হয়েছিল তখন এখানে ভোট দিতে পারেনি কারন ও এখানকার ছেলেই নয়। পরে ও হলদিয়া পৌরসভায় নাম তুলেছে, সেই শুভেন্দুই আবার নাম নন্দীগ্রামে নাম তুলেছে। এমন নাম তুলিয়ে নিজেকে ভূমিপুত্র প্রমান করা যেতেই পারে কিন্তু আসলে তিনি এখানকার ছেলেই নন। মিথ্যা কথা বলে সবকিছু চালাচ্ছে।’ একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘শুভেন্দু অধিকারী এমপি থাকাকালীন হলদিয়ার সমস্ত কলকারখানার দায়িত্বে উনি ছিলেন। আমাদের মতো শ্রমিকদের শোষণ করে নিজে সেই টাকা আত্মসাৎ করে নিয়ে অন্য দলে চলে গিয়েছে।’ হলদিয়ার ঝর্না দেবী বলেন , ‘শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যওপাধ্যায়কে বলছেন বহিরাগত। বাংলার মানুষ বাংলাতেই কীভাবে বহিরাগত হয়? সেই অনুযায়ী উনি নিজেও তো তাই। উনি তো কাঁথির ছেলে। আজ কীভাবে তিনি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হয়ে গেলেন। আমাদের দেশের আইন যে ব্যক্তি যে রাজ্যের ভোটার সেই রাজ্যের যে কোনও স্থানে তিনি ভোটে লড়াই করতে পারেন। এমনভাবে কাউকে বহিরাগত বলে দেওয়া যায় না। এটা কুৎসা করার চেষ্টা। এছাড়া আর কিছু নয়।’

নন্দীগ্রামের আরেক বাসিন্দা সোমা দেবী বলেন , ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মাটি। সঠিক জবাব দিতে জানে। কে কোথাকার মানুষ , ক কী করছে না করছে সব বোঝে। শুভেন্দু অধিকারী সেই জবাব পেয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত প্রার্থী হওয়ার পর নন্দীগ্রামে একটি কর্মিসভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামে আমি কেন দাঁড়ালাম? ভবানীপুর থেকেও তো দাঁড়াতে পারতাম। শেষবার যখন এসেছিলাম সেদিন কথা দিয়েছিলাম। আপনাদের উদ্দীপনা দেখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিঙ্গুর না হলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের তুফান আসত না। মাথায় ছিল হয় সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াব।’

বহিরাগত ইস্যুতে ওইদিন তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি বহিরাগত। আমি বাংলার মেয়ে বহিরাগত হয়ে গেলাম? আর তুমি দিল্লির লোক, বহিরাগত হলে না? যাঁরা গুজরাত থেকে আসছেন, রাজস্থান থেকে আসছেন, তাঁরা বাংলার লোক হয়ে গেলেন? তোমার বাড়ি মেদিনীপুর, আর আমার বাড়ি বীরভূম, এটাই তো পার্থক্য’।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#suvendu adhikari, #Nandigram

আরো দেখুন