দেশ বাঁচাতে বিজেপি হারানোর আবেদন কৃষকনেতা টিকায়েতের
দেশকে বাঁচাতে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ক্ষমতা থেকে হটাতেই হবে। বাংলার মানুষ বিধানসভার ভোটে (West Bengal Elections 2021) বিজেপিকে হারিয়ে সেই কাজেরই সূচনা করুক। গোটা দেশের কৃষক সমাজ সেই আশাতেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলার নির্বাচনের দিকে। কারণ, এখানে বিজেপির পরাজয় হলে সেটা হবে দেশের কৃষকদের জয়। শনিবার রাজ্যে এসে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিলেন দিল্লির উপকণ্ঠে গত সাড়ে তিন মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত। সকালে কলকাতা এবং সন্ধ্যায় লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু নন্দীগ্রামে গিয়ে কৃষক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই সুরেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন টিকায়েত (Rakesh Tikait)। শুধু ভাষণই নয়, জমি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান নন্দীগ্রামে গিয়ে এই প্রবীণ কৃষক নেতা কাঁধের সবুজ নিশান মাথার উপর ঘুরিয়ে তাল মিলিয়ে একাধিকবার ‘খেলা হবে’ স্লোগানও তোলেন।
উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষও তাতে যোগ্য সঙ্গত করে। উল্লেখ্য, আজ রবিবার টিকায়েত সহ দিল্লি থেকে আসা কৃষক নেতাদের মধ্যে কয়েকজন যাবেন সিঙ্গুরে। সেখানে তাঁরা মিছিলে অংশ নেবেন। টিকায়েতদের এদিনের নন্দীগ্রাম সফর ঘিরে এলাকার মানুষের আগ্রহ ছিল যথেষ্ট। বাইপাসের ধারে আয়োজন করা হয়েছিল এই সমাবেশের। তাঁদের সঙ্গে কলকাতা থেকে এসেছিলেন বহু শিখ সম্প্রদায়ের মানুষও। সকালে মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশেও তাঁদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেও অবশ্য বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক হাজির হয়েছিলেন বাইক-গাড়িতে দলীয় পতাকা লাগিয়ে। তার আগে বিমানবন্দরে টিকায়েতকে স্বাগত জানান তৃণমূল এমপি দোলা সেন ও জোড়াফুল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার।
টিকায়েত ছাড়াও এদিন কলকাতা ও নন্দীগ্রামের সভামঞ্চ থেকে মোদি এবং তাঁর দল বিজেপিকে তুলোধোনা করেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর ও অন্য নেতারা। তাঁরা বলেন, কেন্দ্রের সরকার এখন কোনও দল নয়, কোম্পানি চালাচ্ছে। কোম্পানির সরকার হওয়ার কারণে কেন্দ্র গত ২২ জানুয়ারির পর আর আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কৃষি আইন বাতিলের ইস্যুতে কথা বলেনি। এখন বাংলার ক্ষমতা দখল করতে গোটা সরকারটাই নাকি এখানে চলে এসেছে। তাই আমরাও ওদের পিছু ধাওয়া করে বাংলায় এসেছি। বাংলার মানুষকে এই বার্তা দিচ্ছি, এই লুটেরা সরকারকে উচিত শিক্ষা দিতে হলে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। এই দল দেশ বিক্রি করতে মরিয়া। আর কৃষকরা দেশ বাঁচাতে বাজি ধরেছে। এই লড়াই জিততে হলে বাংলার মানুষকে আজ ঠান্ডা মাথায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিনও অবশ্য টিকায়েত-যোগেন্দ্র যাদব-মেধারা বারবার বলেন, আমরা একটি দলকে হারানোর আহ্বান জানাচ্ছি। নন্দীগ্রামে (Nandigram) যে মন্ত্রী সম্প্রতি বিজেপিতে গিয়েছেন তাঁকেও উচিত শিক্ষা দিন।