বিজেপিতে কোনঠাসা সৌমিত্র, ফিরবেন তৃণমূলে?
সামান্য এক নোটিস, আর তা ঘিরেই উথালপাতাল পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। কার্যত সেই নোটিসেই বেআব্রু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে আদি বনাম নব্যদের কোন্দল। তৃণমূল থেকে আসা আক ঝাঁক নেতার দৌলতে যে রাজ্য বিজেপির আদি নেতা থেকে শুরু করে সঙ্ঘের লোকেরাও রীতিমত কোনঠাসা অবস্থায় পড়ে গিয়েছেন সেটাই কার্যত এবার সামনে নিয়ে চলে এল রাজ্য বিজেপির ওই নোটিস।
নোটিসে বলা হয়েছে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বা সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর সন্মতি বা নির্দেশ ছাড়া রাজ্যের কোথাও দলের কোনও সংগঠনে বা পদের ক্ষেত্রে কোনও রকম বদল আনা যাবে না। বুথ স্তরের সংগঠন হোক বা পদ কিংবা মণ্ডল স্তরের বা জেলাস্তরে সংগঠন ও পদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই নির্দেশ নিয়েই এখন জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডে।
আমরা দেখেছি, অতীতে যুব মোর্চার পদাধিকারীদের তালিকা নিয়ে সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে মতান্তর হয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ এমন পরিস্থিতে পৌঁছায় যে সৌমিত্রবাবু হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে ইস্তফা দেন। তারপর অবশ্য তা প্রত্যাহারও করেন। কিন্তু তারপর থেকেই কার্যত ক্ষমতাহীন তিনি। আর এবারে কোনও নিয়োগ করার ক্ষমতা একদমই থাকলো না তাঁর। কোনঠাসা হয়ে সৌমিত্রবাবু এখন তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের চিন্তাভাবনাও করছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, তৃণমূলের সর্বোচ্চ স্তরের নেতৃত্বের সাথে কথাবার্তা চলছে সৌমিত্রর। অনেকটাই এগিয়েছে ‘ঘর ওয়াপসির’ তৈয়ারি। যদিও, নির্বাচনের আগেই উনি হয়তো তৃণমূলে ফিরবেন না। ফল পরই দলে ফিরবেন তিনি। এর ফলে একদিকে যেমন নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারও পুনরুজ্জীবিত হবে, পাশাপাশি গার্হস্থ্য সমস্যাও মিটবে।
উল্লেখ্য, সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল কয়েক সপ্তাহ আগেই তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর এক নাটকের সাক্ষী থাকে রাজ্যবাসী। সাংবাদিক বৈঠক করে সুজাতাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র। অবশ্য, সুজাতার দাবি দলের চাপেই তিনি এই কাজ করেছেন। স্বামী শুভবুদ্ধির আশায় যাগযজ্ঞও করছেন তিনি।
প্রশ্ন উঠছে, নব্য বিজেপিদের দাপটে কোনঠাসা দশা হয়েছে আদি বিজেপিদের? দিলীপ বা অমিতাভ কি চান না যে এই নব্য বিজেপির হাতে দলের রাশ চলে যাক? দলের অন্দরে আদি বনাম নব্যদের বিবাদ যে ভালই আকার ধারন করেছে তার ফল কি ভুগতে হবে বিধানসভা নির্বাচনে? সময় বলবে।