সাংবিধানিক রীতিকে ধূলিস্যাৎ করে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ নির্বাচনে, বিতর্ক
বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর দেখা গেলো দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বিধায়ক পদের জন্য বাংলার নির্বাচনে লড়বেন। এদের মধ্যে একটি নাম জ্বলজ্বল করেছে – স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। যিনি রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত একজন সাংসদ।
রাষ্ট্রপতি মনোনীত ১২ জন সদস্য আছে রাজ্যসভায়। তাঁদের একজন হলেন স্বপন দাশগুপ্ত। রাজ্যসভার অন্যান্য সদস্যরা বিধানসভার সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে আসেন। দেশের স্বাধীনতার পর স্বপনবাবু সম্ভবত প্রথম মনোনীত সদস্য যিনি কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে রাজ্যসভার ওয়েবসাইট বলছে, ইনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।
মনোনীত সদস্যদের কাছে সুযোগ থাকে শপথ গ্রহণের পর ছমাসের মধ্যে কোনও একটি দলে যোগ দেওয়ার। স্বপনবাবু সেটি করেননি। একদিকে তিনি নিজেকে নিরপেক্ষ প্রতিপন্ন করতে চান, অন্যদিকে বিজেপির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন। এই প্রেক্ষিতে এক সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞর মত, আত্মসম্মানবোধ বা চক্ষুলজ্জা থাকলে রাজ্যসভা থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত স্বপন দাশগুপ্তর।
স্বপন দাশগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে যে, কোনও মনোনীত রাজ্যসভার সদস্যের সাংসদ পদ খারিজ হবে যদি তিনি শপথ নেওয়ার ছ’মাস পর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন। স্বপন দাশগুপ্ত ২০১৬ সালের এপ্রিলে সাংসদ হিসেবে শপথ নেন। তাই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে অবশ্যই তাঁর উচিত সাংসদ হিসেবে ইস্তফা দেওয়া, নয়তো তাঁর সংসদ পদ খারিজ হতে পারে।
সামনের বছরই রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে স্বপন দাশগুপ্তের। তাই তার আগেই বাংলার লড়াইয়ের জন্য তাঁকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল। তিনি ছিলেন দিল্লির ভোটার। সম্প্রতি এরাজ্যের ভোটার হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তাতে বাংলার ভূমিপুত্র হয়ে গেছেন কি?