প্রার্থী খুঁজতে মরিয়া বিজেপি মহাগুরু স্মরণে, রাজি নন বাকি সাংসদরাও
বাজারে জোর গুজব, কলকাতায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকি বিজেপি নেতারা দাঁড়িয়ে আছেন, প্রচারের জন্য নয়, প্রার্থী খুঁজে বের করতে। অভাবটা আরো প্রকট হয়ে উঠেছে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই। এমনিতেই বাংলায় বিজেপির সংগঠনের জোর শুধু খাতায় কলমে। সেখানে দলবদলু কিছু নেতা এসে সেলাই করে মেরামতি করেছেন। কিন্তু ২৯৪টা আসনে প্রার্থী জোগাড় করতে গিয়ে জিভ বেরিয়ে গেছে নেতাদের। ২৯৪ কেন, ২০০ আসনেও প্রার্থী দিতে নাজেহাল হচ্ছেন তারা। সাংসদদের বিধানসভায় প্রার্থী করা এই অভাবেরই নিদর্শন।
হিসেবে যদি ঠিক থাকে, তাহলে বিজেপির হালে পানি দিতে নামানো হতে পারে মিঠুনদাকে। তাই যদি হয়, তাহলে, হাফপ্যান্টে নয়, জোড়াসাঁকো থেকে নাকি শুরু হতে চলেছে মহাগুরুর (Mithun Chakraborty) নতুন ইনিংস, বলছে রাজনীতির অন্দরমহলের গুঞ্জন। ২০১৬র ভোটের ঠিক আগে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল। বিজেপির প্রার্থী এবং তখন রাজ্যের বড় নেতা রাহুল সিনহা সেই এজেন্ডাকে কাজে লাগিয়েও তৃণমূলের স্মিতা বক্সীকে হারাতে পারেননি। ২০২১শে প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল (Trinamool)। নতুন প্রার্থী রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বিবেক গুপ্ত। অবাঙালি অধ্যুষিত এই আসনের দখল নিতে এবার মরিয়া চাল চালতে চলেছে বিজেপি।
শোনা যাচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তীর শুধু পায়ে পড়ে যাওয়া বাকি রেখেছেন বিজেপির (BJP) নেতারা। রাতদিন তাকে মানানো হচ্ছে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর জন্য। উত্তর কলকাতার ছেলে বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু জোড়াসাঁকো বাদ দিয়ে উত্তর কলকাতার বাকি আসনগুলোতে সব হেভিওয়েট প্রার্থী তৃণমূলের। তাই ভরসা হতে পারে জোড়াসাঁকোই।
অন্যদিকে যেসব সাংসদ শিং ভেঙে বাছুরের মত বিধানসভায় প্রার্থী হয়ে এসেছেন, তাদের জেতা নিয়ে ১০০% কেন, ৫০%ও গ্যারান্টি দিতে পারবে না বিজেপির নেতারা। চুঁচুড়ায় লকেট দাঁড়াচ্ছেন শুনে বিদ্রোহ করে সন্ন্যাস নিয়েছে জেলার নেতা। বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করা হয়েছে টালিগঞ্জ থেকে, যেখানে তৃণমূলের সংগঠন সক্রিয় এবং শক্তিশালী। স্বপন দাশগুপ্তকে তারকেশ্বর কেন, গোটা বাংলায় কেউ চেনে না। বাকি রইল নিশীথ প্রামাণিক, কিন্তু দিনহাটায় বিজেপির যা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সেখানে নিশীথের জেতাতে বেশ কঠিন হবে। তাই বাকি সাংসদরাও প্রার্থী হতে চাচ্ছেন না।