জোটের বাধ্যবাধকতার জন্যই সাঁইবাড়ির শহিদ বেদিতে এবার মাল্যদান করল না কংগ্রেস
পাঁচ দশক পরেও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড। ৫১-তম বছরে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে এল না কংগ্রেস। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল ও সাঁই পরিবারের অভিযোগ, সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ভুলে গেছে কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে ভোটে লড়ছে। তাই জোটের বাধ্যবাধকতা থেকেই আসেনি কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, সাঁই পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই তাঁরা জেলা কংগ্রেস অফিসেই শহিদদের মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বুধবার ছিল বর্ধমানের সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ৫১-তম বছর। অভিযোগ, ১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ সাতসকালে সিপিএমের হাতে খুন হন সাঁইবাড়ির দুই ছেলে মলয় সাঁই, প্রণব সাঁই এবং বাড়ির গৃহশিক্ষক জীতেন রায়। প্রতি বছরই এই দিনটিকে স্মরণ করে আসছেন জেলার কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। ২০১১ সাল থেকে কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসও সাইঁবাড়ি দিবস পালন করে আসছে। একদিকে বর্ধমান শহরের তেলমারুই পাড়ায় সাঁইবাড়ির শহিদদের বেদিতে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করার পাশাপাশি জেলা কংগ্রেস ভবনেও পৃথকভাবে এই দিনটি পালন করে আসছিলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। কিন্তু এবারেই সেই ধারায় ছেদ পড়ল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবার শহিদ বেদীতে মাল্যদান করা হয়নি।
এখানেই সাঁই পরিবারের গৃহবধূ তথা তৃণমূল নেত্রী উমা সাঁইয়ের অভিযোগ, ‘যে সাঁইবাড়িকে সিপিএম ধ্বংস করে দিল, সেই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা এল না। এটা খুব খারাপ লাগল। ভোটে জোট করার জন্য এল না। সাঁইবাড়ির স্মৃতি ভুলে গেছে কংগ্রেস। এটা বেদনাদায়ক।’
পাশাপাশি একই অভিযোগ করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিদায়ী মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বুধবারই তেলমারুইপাড়ায় সাঁইবাড়ির শহিদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান একঝাঁক তৃণমূল নেতা। এদিন দুপুরে এসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান বিদায়ী মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নিশীথ মালিক, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা।