বারুইপুরে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে মিমি, গ্রামে জনসমুদ্র
হুডখোলা জিপে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে বিপুল সাড়া পেলেন বারুইপুর (Baruipur) পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিভাস সর্দার। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার শেষ সীমান্ত বৃন্দাখালি পঞ্চায়েতের মৌতলা থেকে শুরু হয় রোড শো। আওয়াজ উঠল ‘খেলা হবে’। জনজোয়ারে ভেসে যাওয়া রোড শো ঘিরে উন্মাদনা ও উচ্ছ্বাসে মাতলেন কর্মী-সমর্থকরা।
এলাকায় আগেই ঘোষণা হয়েছিল, প্রার্থীকে নিয়ে মিমি আসবেন। তাই বিকেল থেকে গ্রামের মানুষজন প্রহর গুনতে থাকেন, কখন আসবেন সাংসদ ও প্রার্থী। ঠিক ৫টায় শুরু হয় প্রচার। হুডখোলা জিপে ওঠেন বিভাস সর্দার ও মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) । সঙ্গে ছিলেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী। গাড়ি চলা শুরু হতেই ভিড় জমে যায় গাড়ির সামনে। গৃহবধূরা ঘরের কাজ ফেলে ছুটে আসেন সাংসদ ও প্রার্থীকে দেখতে। এগিয়ে আসেন যুবক, যুবতীর দল। মোবাইল ক্যামেরায় উঠতে থাকে একের পর এক ছবি। কেউ কেউ সাংসদকে একবার ছোঁয়ার জন্য ছেলে কোলে নিয়ে এগিয়ে যান গাড়ির কাছে। সাংসদ মিমি কাউকে নিরাশ না করে অনেকের সঙ্গেই হাত মেলান। রাস্তার দু’ধারে মানুষের ভিড় জমে যায়। করজোড়ে প্রার্থী মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। মিমি তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। গাড়ি এগিয়ে চলে জয়াতলা, পারুলদহের কাছে। গাড়িতে দাঁড়িয়েই একের পর অটোগ্রাফের আব্দারও মেটান সাংসদ।
প্রসঙ্গত, এই বৃন্দাখালি পঞ্চায়েত থেকেই গত লোকসভা ভোটে সাংসদ ২২৭০ ভোটে লিড পেয়েছিলেন। রোড শো শেষ হয় দমদমা এলাকায়। এদিন মিমি বলেন, যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করেন, তাঁরাই জিতবেন। মানুষ বুঝে গিয়েছেন, কারা বাংলার ক্ষতি করতে চলেছেন। প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাই আপদে বিপদে থেকেছে মানুষের পাশে। তারপরেও আমি বলব মানুষই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিন সকালে বারুইপুর ফুলতলা থেকে মিছিল করে এসে বারুইপুর মহকুমা শাসকের অফিসে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের (Trinamool) সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, পুরসভার প্রশাসক শক্তি রায়চৌধুরী সহ অন্যরা।