অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদি-শাহের বক্তব্য খণ্ডন করলেন খোদ মন্ত্রী
নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অথবা ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ ইন্ডিয়ান সিটিজেন (NRC) অনুযায়ী ডিটেনশন কেন্দ্র গড়ার কোনও কথা বলা নেই। তাই ওই দুই আইন ও বিধিতে ডিটেনশন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রশ্ন উঠছে না। রাজ্যসভায় এই তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে ওই দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, এনআরসি চালু করা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সরকার নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কার্যকর করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও চলছে।
রাজ্যসভায় সরকার অনুপ্রবেশের যে পরিসংখ্যান দিয়েছে সেটা যথেষ্ট বিস্ময়কর। কারণ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদি সরকার ও বিজেপি সর্বদাই সরব। এমতাবস্থায় সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিগত দু’বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা মাত্র ১০৪৫। নেপাল থেকে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৬৩। ভারত সরকার ও বিজেপি লাগাতার বলে গিয়েছে, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা গৃহযুদ্ধের কারণে পালিয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে। বেশ কিছু রাজ্যে এই অনুপ্রবেশকারীরা আশ্রয় নিয়ে রয়েছে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টার্গেট করে বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা সবথেকে বেশি। অথচ বুধবার সংসদে পেশ করা তথ্য বলছে, গত দু’বছরে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা শূন্য।
সম্প্রতি মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে সরকার নির্দেশিকা দিয়েছে যে, মায়ানমার থেকে উদ্বাস্তুদের আসা প্রতিরোধ করতে হবে। বলা হয়েছে, রাজ্যগুলির কোনও আইনি অধিকার নেই বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার। মায়ানমার থেকে দলে দলে মানুষ পালাচ্ছে বিগত কয়েক বছরে। গত বছর থেকে এই পালানো আরও বেড়েছে। তারা ভারতেও ঢুকে পড়ছে। এই প্রবণতা নিয়ে প্রবল চাপানউতোরও আছে। অথচ সরকারিভাবে সেই সংখ্যা কিন্তু সামনে নেই।