দেশ বিভাগে ফিরে যান

অবহেলায় নষ্ট টিকা, বৈঠকে যোগীরাজ্যকে তুলোধোনা মোদির

March 18, 2021 | 2 min read

দফায় দফায় পশ্চিমবঙ্গে এসে নির্বাচনী প্রচারে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ। অথচ, তাঁর নিজের রাজ্যের করোনা যুদ্ধের পারফরম্যান্সই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর তোপের মুখে। করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে। কয়েকটি রাজ্যে সেই বৃদ্ধি যথেষ্ট বিপজ্জনক। এই পরিস্থিতিতে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বুধবার ভিডিও কনফারেন্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং গণটিকাকরণ কর্মসূচির সফল রূপায়ণ। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বিস্তারিত বৈঠক-পর্বে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ মূলত আছড়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের উপর। অর্থাৎ হাই প্রোফাইল ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য। হাই প্রোফাইল কারণ, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথ—বিজেপির কাছে দু’জনেই উজ্জ্বল সাফল্যের মুখ। সেই উত্তরপ্রদেশ করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় অনেক পিছিয়ে  বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি বললেন, ‘করোনা চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার প্রধান অস্ত্র টেস্টিং।

কিন্তু কিছু রাজ্যে আছে তাতে চূড়ান্ত গাফিলতি হচ্ছে।  এই রাজ্যগুলির মধ্যে কেরল ও উত্তরপ্রদেশ অন্যতম। অথচ বারংবার বলা হয়েছে যে, করোনা চিহ্নিত এবং প্রতিহত করার জন্য পরীক্ষা বাড়ানো দরকার। আর সেটা অবশ্যই আরটিপিসিআর। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করেই দায় সারলে চলবে না। অথচ, সেটাই হচ্ছে এই রাজ্যগুলিতে।’ প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, এটা কিন্তু সুশাসনের পরীক্ষা। 


একইসঙ্গে মোদি ক্ষুব্ধ ভ্যাকসিন নষ্ট করার প্রবণতায়। গণটিকাকরণ দ্রুত বাড়ানো এই মুহূর্তে প্রয়োজন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি রাজ্যে তা তো হচ্ছেই না, বরং প্রচুর ভ্যকসিন নষ্ট হচ্ছে। এই তালিকাতেও তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি আলাদাভাবে উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। সাফ বলেন, ‘একটি ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার অর্থ, একজন মানুষকে বঞ্চিত করা। এটা আমরা করতে পারি না। কিন্তু এই রাজ্যগুলিতে এভাবে কেন ভ্যাকসিন নষ্ট করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। কারণ তাঁর পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী কর্মসূচি ছিল। তবে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের প্রকাশ্য সমালোচনায় প্রশ্ন উঠছে, এভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সমালোচনার নেপথ্যে কি যোগী বনাম মোদির কোনও নতুন সমীকরণ? আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন।

এরকম অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীই যদি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট হন, তাহলে  বিরোধীরাও তো এই ব্যর্থতাকে ইস্যু করবে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গত বছর সাধারণ মানুষ সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগিয়েছে। আশা করা যায়, এবার নতুন সংক্রমণকেও পরাস্ত করা সম্ভব হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ, এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির যে শহরগুলি রয়েছে, সেখানেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এতদিন গ্রামীণ এলাকা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছে। এই ছোট ও মাঝারি শহরে সংক্রমণ বাড়লে গ্রামেও পৌঁছে যাবে করোনা। তাই সতর্ক হতে হবে।এই মুহূর্তে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#yogi adityanath, #Corona Vaccination, #Narendra Modi

আরো দেখুন