প্রার্থী ঘোষণার দিনেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বর্ধমানে বিজেপি নেতাদের চরিত্র নিয়ে পোস্টার
প্রার্থী তালিকা(Candidate list) ঘোষনার দিনেই ফের একবার পোস্টার ঘিরে প্রকাশ্যে আসলো বর্ধমানে (Burdwan) বিজেপির(BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান উদয়চাঁদ মহিলা কলেজের কাছে বাড়ির দেওয়ালে ওই পোস্টার নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে ছবি সহ নানা ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যে এলাকার বাসিন্দারা হকচকিয়ে যান। তবে, কারা ওই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে। তবে পোস্টার নিয়ে শাসক ও বিজেপি নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করে দায় সারলেও ভোটের মুখে এমন পোস্টার কাণ্ড বর্ধমানের বাসিন্দা মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গত জানুয়ারি মাসে শহর বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটির জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে আসরে নামতে হয়। ঘটনার জন্য বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ দুই পক্ষের ১৪ জনকে শোকজ করে। পরে জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে দিয়ে অভিজিৎ তা’কে সভাপতি করা হয়। তবে এদিনই বর্ধমান দক্ষিনের প্রার্থী হিসাবে দলের তরফে সন্দীপ নন্দীর নাম ঘোষনা করেছে। বর্ধমানের আরাধ্য দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েন তিনি। প্রতিদ্বন্দী তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাসকে হারানোই মূল লক্ষ্য বলে সন্দীপ নন্দী এদিন জানিয়ে দেন।
বর্ধমানের বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, কিছু ওজনদার বিজেপি কার্জকর্তাকে নিশানা করেই পোস্টার গুলি পড়েছে। এমনকি পোস্টারে নানা বক্তব্য লিখে ওইসব কার্যকর্তাদের চরিত্র ও অন্য নানা বিষয়ে নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। পদ্ম শিবির অবশ্য পোস্টার কাণ্ডের পিছনে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের চক্রান্ত দেখছে। বর্ধমান জেলা বিজেপি’র সম্পাদক শ্যামল রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপিতে এই সব নেংরা পোস্টার রাজনীতিরকালচার নেই। পিকের টিমের নির্দেশে তৃণমূলের লোকজন এইসব কু-কর্ম করছে।’
পাল্টা জবাবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, তৃণমূলের কেউ এইসব করতে যাবে না। ওইসব বিজেপির ঘরোয়া ব্যাপার। মহিলার ছবি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য মন্তব্য পোস্টার দেওয়ালে যারা লাগিয়েছে তারা মোটেই উচিত কাজ করেনি। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, ‘এর আগেও বিজেপি নেতাদের নামে কুৎসা লিখে ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী’ চেয়ে পোস্টার পড়েছিল বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউণ্ডের কাছে। বিজেপি নেতারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ইচ্ছাকৃতভাবে এই পোস্টার কাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দিচ্ছে।’