প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভ বসিরহাটে
বসিরহাটে(Basirhat) তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে(BJP) যোগ দিয়েছেন একঝাঁক খেলোয়াড়, শিক্ষক, দাপুটে নেতারা। অনেকেই আশা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যেই কাউকে টিকিট দেবে বিজেপি। বসিরহাট উত্তর বা দক্ষিণ কোনও কেন্দ্রেই শিকে ছেড়েনি এই দলবদলুদের। ‘দমবন্ধ’ পরিবেশ ছেড়ে পদ্ম শিবিরে টিকিটের আশায় এলেও মনোবাঞ্ছা পূরণ না হয় ক্ষোভ চেপে রাখতে পারছেন না তাঁরা। ফুটবলার বিদায়ী বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস গতবার ঘাসফুল প্রতীকে জিতেছিলেন বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে। এবার আর তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তাই পতাকা বদল করে তিনি ভিড়েছেন গেরুয়া শিবিরে।
আরেকজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক ইতিহাসের শিক্ষক ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার তৃণমূল ছেড়েছিলেন তারও আগে। তাঁর আশা ছিল বসিরহাট উত্তর কেন্দ্র থেকে তাঁকেই প্রার্থী করবে বিজেপি। সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন মোদি-শাহ জুটি। ঢাকডোল বাজিয়ে তাঁকে দলে নেওয়া হলেও টিকিট বিলির সময় ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন তিনি।স্বভাবতই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গোটা বসিরহাট জুড়ে।
দল বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী নারায়ণ মণ্ডলকে এবং দক্ষিণে প্রার্থী করেছে বসিরহাট জেলার সাংগঠনিক সভাপতি তারক ঘোষকে। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের দাবি, বাবু মাস্টার বা দীপেন্দুকে প্রার্থী করা হলে ফল অন্যরকম হতো। নিচুতলার কর্মীদের মতামতকে এড়িয়ে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। ফলে দলের ফল আশানুরূপ হবে না। প্রার্থী নিয়ে দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভের অন্ত নেই।
আঙুর ফল টক। সেই প্রবাদকেই মনে করাল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা বাবু মাস্টারের মন্তব্য। তিনি বললেন, ‘দল যাঁকেই প্রার্থী করুক না কেন, আমরা জোটবদ্ধ হয়ে লড়ব।’ দীপেন্দুর কথায়, দলের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে কাজ করব।’