করোনার টিকা গ্রহণে রাজ্যে শীর্ষে কলকাতা
করোনার টিকাদানে(Covid Vaccination) রাজ্যে সার্বিকভাবে এক নম্বরে রয়েছে কলকাতা(Kolkata)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pgs) ও মুর্শিদাবাদ(Murshidabad)। শুক্রবার স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ১৬ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৩৩ লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫-৫৯ বয়সসীমার কোমরবিড আছেন ১৫ লক্ষাধিক মানুষ। প্রথম সারির যোদ্ধাদের মধ্যে টিকা পেয়েছেন ৭ লক্ষ ৮৭ হাজারের বেশি ব্যক্তি। এছাড়া ৫ লক্ষ ৩৫ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীও টিকা পেয়েছেন।
এঁদের মধ্যে শুধু কলকাতাতেই টিকা পেয়েছেন প্রায় চার লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদেও ভোটকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, ৪৫-৫৯ বছর বয়স্ক ও ষাঠোর্ধ্ব—সব ধরনের মানুষের মধ্যে টিকাদানে উল্লেখযোগ্য কাজ করছে। উত্তর ২৪ পরগনায় এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৭২ জন। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে পেয়েছেন ২ লক্ষ ৬ হাজারের বেশি ব্যক্তি। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা, কালিম্পং ও ঝাড়গ্রাম—এই তিন জায়গা এখনও পর্যন্ত টিকাকরণে রাজ্যজুড়ে পিছনের সারিতে। সূচনাপর্ব থেকে এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত এই তিন জায়গায় যথাক্রমে ২৩ হাজার ৬১৯ জন, ২৪ হাজার ১৩০ জন এবং ৩৪ হাজার ৭৭৩ জন টিকা পেয়েছেন।
এ গেল টিকাকরণের সার্বিক পরিসংখ্যান। এর মধ্যে ৪৫-৫৯ বছর এবং ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের মধ্যে টিকাদানের চিত্র থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আগ্রহ, উদ্যোগ ও সুব্যবস্থাপনার ছবি যেমন ধরা পড়ে, একইভাবে মানুষের মধ্যে টিকাগ্রহণের উৎসাহও বোঝা যায়। এই দুই বয়সসীমা মিলিয়ে নাগরিকদের মধ্যে টিকাদানেও এক নম্বরে রয়েছে কলকাতা। দুই এবং তিন নম্বর জায়গা দখল করেছে যথাক্রমে হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই তিন জায়গায় এখনও পর্যন্ত যথাক্রমে এক লক্ষ ৪২ হাজার ৪১৮ জন, ১ লক্ষ ১৭ হাজার ২০৪ জন ও ১ লক্ষ ১২ হাজার ৭৭১ জন টিকা নিয়েছেন। এই নাগরিক টিকাকরণে রাজ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ঝাড়গ্রাম। পিছনের সারিতে আসছে জলপাইগুড়ি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার নামও।
এবার দেখা যাক, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণে কোন কোন জেলা শীর্ষস্থানে। এই দু’টি ক্ষেত্রেও এক নম্বরে রয়েছে কলকাতা। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ। অন্যদিকে, এই দুই ক্ষেত্রেও রামপুরহাট, ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর, নন্দীগ্রাম ইত্যাদি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বেশি। বয়স্ক মানুষের সংখ্যাও বেশি। সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। তবে এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা অসম্ভব ভালো কাজ করছে।