রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

তৃণমূলের গদ্দাররা আজ বিজেপির ওস্তাদ, পাঁশকুড়ার জামানত জব্দ করার আবেদন মমতার

March 20, 2021 | 4 min read

একুশের নির্বাচনে প্রচারের ঝড় তুলেছেন মমতা। ভাঙা পায়ে কলকাতায় পদযাত্রা দিয়ে শুরু হয় তাঁর নির্বাচনী কর্মসূচি। এরপর ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় তাঁর জনসভায় দেখা যায় জনপ্লাবন। গতকালকের পর আজও মমতা পূর্ব মেদিনীপুরে। 

প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের প্রচারে হাতে গুনে এক সপ্তাহ বাকি। তার আগেই মানুষের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। বার্তা একটাই – ভাঙা পায়েই খেলা হবে। আজ মমতার জনসভা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া, খেজুরী, পাঁশকুড়ায়।

লাইভ আপডেট

৩:২৫: খেলা হবে। ভাঙ্গা পায়ে এমন শট মারবো মা-বোনেদের পাই আমার দুই একটা পা-এই যা করব, তোমরা দুটো পায়ে করতে পারবে না।

৩:২৩: নন্দীগ্রাম আর খেজুরী পাশাপাশি। কিন্তু ভোট হচ্ছে আলাদা দিনে। যাতে বিজেপির নেতারা ঘুরে বেড়াতে পারে। এক জেলাতে চার ভাগে নির্বাচন। চাইনা চাইনা, এই বিজেপি চাই না, চাইনা চাইনা, বহিরাগত চাইনা। চাইনা চাইনা দাঙ্গাবাজদের চাইনা।

৩:২১: বহিরাগত গুন্ডারা ভোট লুট করতে এলে হাতা খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন। মা বোনেদের সাথে নিয়ে ছেলেদের লড়াই করতে হবে।

৩:২০: গরিবদের বাড়িতে হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে বলছে আমরা তোমাদের বাড়িতে খাবো। এইতো বিজেপি চরিত্র। কৃষক মেরে কৃষক প্রেম, এই বিজেপি Shame Shame। গরিব মেরে গরীব প্রেম এই বিজেপি Shame Shame। খেলা হবে।

৩:১৯: ওরা বলছে আমরা নাকি পুজো করতে দিই না। বিশ্বাস করেন? কি আমরা পুজো করতে দিই না? পুজো কমিটি গুলো বলুন মা দুর্গা কে গালাগালি দিচ্ছেন, রবি ঠাকুরের জন্মস্থান ভুলিয়ে দিচ্ছেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিচ্ছেন, ভুল মূর্তিতে মালা দিয়ে বলছে বিরসা মুন্ডা! গায়ের জোর দেখাচ্ছে।

৩:১৮: বাংলার মানুষ চায় না এখানে বিজেপি থাকুক। ২০১৯ সালে ১৮টা সিট পেয়ে ভেবেছে বাংলা দখল করবে। ওরা কেউটে সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। ওদেরকে ঘরে ঢুকতে দেবেন না। বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে। আবার কিছু NRI নিয়ে এসেছে। কারণ তারা বাংলা বলতে পারে। দেখলেই চিনতে পারবেন।

৩:১৬: ১০০ দিনের কাজে বাংলা এক নম্বর, নরেন্দ্র মোদী জেনে যাও। কৃষিকর্ম পুরস্কার পরপর ৬ বার। বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, বৈতরণী, রূপশ্রী আছে। কিছু হয়নি বলছো? সবকিছু আছে বাংলায়।

৩:১৫: আমাদের সরকার থাকলেই মা-বোনেদের আমরা মাসে মাসে হাত খরচা ৫০০ টাকা দেব। কৃষক বন্ধুর ৬ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। ছেলে মেয়েদের পড়ার জন্য ১০ লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেবো। নিজের পয়সায় তারা পড়াশোনা করবে।

৩:১৩: কৃষিবিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এই কৃষিবিল লাগু হলে কৃষকদের স্বাধীনতা থাকবে না। সবজির দাম বেড়ে যাবে।

৩:১২: নিজেদের নামে স্টেডিয়াম বানাচ্ছে। নিজেকে ভাবে ভগবানের বাবা। কখনো নিজেকে রবীন্দ্রনাথ ভাবছে, কখনো বিবেকানন্দ ভাবছে। কোনদিন দেশটাকে বিক্রি করে দেবে। আমরা দেশ বিক্রি করতে দেব না। সারাদেশ বাংলার দিকে তাকিয়ে। আমরা বিজেপি কে হারালে, ওরা দিল্লি থেকে হেরে যাবে।

৩:১১: ওরা বলছে বাংলায় কিছু হয়নি। বাংলায় কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী সব হয়েছে। তোমাদের আমলে নোট বন্দি হয়েছে। ব্যাংক বিক্রি হচ্ছে কেন, বিজেপি জবাব দাও। রেল বিক্রি হচ্ছে কেন, বিজেপি জবাব দাও। বীমা বিক্রি করে দিচ্ছে, কয়লা বিক্রি করে দিচ্ছে। কয়েকদিন পর হলদিয়া বন্দর বিক্রি করে দেবে।

৩:০৯: আগে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। মনে আছে, আমি ঘন্টা বাজিয়ে NRC-NPR এর বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। কত আন্দোলন করেছি আমরা। আমি কিন্তু করতে দিইনি বাংলায়। আগামী দিনেও করতে দেব না। ওরা বহিরাগত দিয়ে আপনার বাড়ি দখল করবে। রাজনৈতিক লড়াই লড়তে পারে না। তাই এজেন্সি পাঠায়। আমরা বলেছি, গণতান্ত্রিকভাবে লড়ো।

৩:০৮: তৃণমূল নাকি মানুষের থেকে টাকা নেয়। একটা গরিব লোক ৫০০ টাকা নিলে সে চোর। ওদিকে বিজেপির ডাকাতরা সব লক্ষ কোটি টাকা চুরি করছে। পিএম কেয়ার এর টাকা কোথায় গেল? আমি বলেছিলাম আমরা টাকা দিচ্ছি, আপনারা সবাইকে টিকা দিন। দিল না। বিহার নির্বাচনের সময় বলল, আপনারা ভোট দিন আমরা টিকা দেবো। ভোট নিল পালিয়ে গেল। আগে বলেছিল ১৫ লাখ টাকা দেবে। দিয়েছে? মিছিলে যাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দেয়। টাকা কিন্তু ওদের না। জনগণের টাকা। টাকা দিলেও ওদের ভোট দেবেন না। ওটা আপনার নিজস্ব অধিকার।

৩:০৬: আগামীদিনে আপনারা বিনা পয়সায় দুয়ারে দুয়ারে রেশন পাবেন। আমরা বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি। ওদিকে মোদী গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। কেরোসিন দিচ্ছে না। ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা হয়েছে গ্যাসের দাম। নির্বাচনের সময় হয়তো ১০০ টাকা কমাবে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে।

৩:০৫: দক্ষিণার উত্তরবঙ্গ কে যোগ করতে মেছোগ্রাম থেকে দাসপুর হয়ে আরামবাগ হয়ে বীরভূম দিয়ে উত্তরবঙ্গ চলে যাবে রাস্তা। এই নতুন ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করেছি। DVC-র নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রজেক্ট শুরু করেছি।

৩:০৪: আমি কিন্তু কপালেশ্বর, কেলেঘাই করে দিয়েছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দিয়েছি। বাংলা থেকে কেন্দ্রের জল সম্পদের অফিসে নিয়ে যাওয়া হল। আমার পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করেছিলাম যাতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু করতে পারি। কেন্দ্র অনুমতি দেয়নি। তাই দেরি হচ্ছে।

৩:০৩: নির্বাচনের আগে ওরা বাইরে থেকে গুন্ডা আনার পরিকল্পনা করছে। বাংলা গুজরাট নয়, মধ্যপ্রদেশ নয়। অত সহজ নয়। বাংলার ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি।

৩:০২: ওরা প্রার্থী পাচ্ছে না, সাংসদদের প্রার্থী করছে। আর কিছু মীরজাফর আমাদের ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। আপদ বিদায় হয়েছে। সিপিএম যারা অত্যাচার করত জঙ্গলমহল কে অশান্ত করে দিয়েছিল, তারা আজ বিজেপির‌ও ওস্তাদ। এই বিজেপি অটল বিহারীর বিজেপি নয়। ধ্বংসকারী স্বৈরাচারী দুরাচারীর বিজেপি, সন্ত্রাসের বিজেপি দানবের বিজেপি।

২:৫৯: আমি মানুষের সাথে কাজ করার লোক। তাদের যন্ত্রণা বুঝি। এটা দিল্লির নির্বাচন নয়। বাংলার নির্বাচন। আপনারা যদি আমার সরকার চান, তাহলে প্রার্থী যেই হোক ভোটটা তৃণমূলকে দেবেন। নয়তো বহিরাগত গুন্ডা এসে বাংলা দখল করবে।

২:৫৭: এই বিজেপি নামক পার্টি হল সবচেয়ে জঘন্য পার্টি। দেশটাকে শেষ করে দিতে চাইছে। মানুষের ভালোর জন্য আমায় তাই পথে বেরোতেই হল। চিকিৎসকদের বারণ সত্ত্বেও। বিজেপির অহংকার সহ্য করা যাচ্ছে না। টিভির মালিকদের কিনেছে। News18 বিশেষ করে মিথ্যা বলছে। পরিকল্পনা করে আমাদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে। আমি যদি রাজনীতি বুঝি, তৃণমূল দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পাবে। সাংবাদিকদের দোষ নেই। ওদের দিয়ে করানো হয়।

২:৫৫: আমি সব ব্যথা সহ্য করতে পারি। আমার মা বোনেদের ব্যথা সহ্য করতে পারব না। ১৯৯০ সালে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। আমার শরীরে আঘাত হয়েছে। অনেক অপারেশন হয়েছে। আমি মার খেতে খেতে বেঁচে আছি। তাই আমি ২৫-৩০ কিমি রোজ হাঁটি। কিন্তু এখন সেটা আমি করতে পারছিনা। মানসিক কষ্ট হচ্ছে।

২: ৫৩: আজ এখানে আমার সাথে উপস্থিত আছেন ফিরোজা বিবি- তিনি শহিদ ইমদাদুলের মা। নন্দীগ্রামের মা। হয়তো বয়সের ভারে তিনি সব জায়গায় থাকতে পারেন না। কিন্তু তিনি যতটা পারেন মানুষের পাশে থাকেন। আমি ভালো থাকলে হয়তো আরো কিছু করতে পারতাম। কিন্তু একটা পা আমি ফেলতেই পারছিনা। ভীষণ চোট লেগেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Trinamool Congress, #Panshkura

আরো দেখুন