ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মীরজাফরদের বিরুদ্ধে, দক্ষিণ কাঁথি থেকে তোপ মমতার
একুশের নির্বাচনে প্রচারের ঝড় তুলেছেন মমতা। ভাঙা পায়ে কলকাতায় পদযাত্রা দিয়ে শুরু হয় তাঁর নির্বাচনী কর্মসূচি। এরপর ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় তাঁর জনসভায় দেখা যায় জনপ্লাবন। আজও মমতা পূর্ব মেদিনীপুরে।
প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনের প্রচারে বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগেই মানুষের দরবারে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। বার্তা একটাই – ভাঙা পায়েই খেলা হবে। আজ মমতার জনসভা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি উত্তর ও দক্ষিণ এবং নন্দকুমার বিধানসভায়।
লাইভ আপডেট
১২:৪৭: সংকল্প নিতে হবে, বিজেপি হটাও, বাংলা বাঁচাও, বহিরাগত গুন্ডা হটাও, বাংলা বাঁচাও।
১২:৪৬: মেয়েদের উপর গুরুত্ব দিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।আমার দুটো করে পা মা বোনেদের আছে, তাঁদের পা চলছে আমার সঙ্গে। মা বোনেদের পায়ের উপর ভর করেই আমি চলব।
১২.৪৫: বিজেপি এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই টাকা থেকে গুণ্ডা পোষে। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না।
১২:৪৪: সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, জগাই, মাধাই গদাই। তিনটেকেই বিদায় দিন। জিজ্ঞাসা করুন, কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে। কেন পেট্রোলের দাম বাড়ছে। কবিজেপি ভোট চাইলে জিজ্ঞাসা করুন, রেল, কোল, এয়ার ইন্ডিয়া, কেন বিক্রি হচ্ছে? পিএম কেয়ার্স, নোট বন্দির টাকা কোথায় গেল? জবাব দিতে বলুন। নির্বাচনের সময় লোককে ৫০০-১০০০ টাকা করে দিচ্ছে।
১২:৪৩: পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? বিজেপি জবাব দাও। নোটবন্দির টাকা কোথায় গেল বিজেপি জবাব দাও। এরা কত টাকা করেছ? হাজার হাজার কোটি টাকা, আমি জানতাম না, এই লুটেরা টাকা নেবেন না।
১২:৪২: গ্যাসের দাম ৮৪০টাকা হলো কেন? পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়িতে দিচ্ছে। মোহনায় মাছ ধরতে গেলে আপনাকে সরিয়ে দিয়ে মাছ লুটে নিয়ে চলে যাবে কোটিপতিরা।
১২:৪১: আমাকে যদি চান, তাহলে আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিন। নির্বাচনের আগে কোনও গুন্ডা ঢুকতে দেবেন না। গ্রামের রাস্তা আটকালে প্রতিবাদ জানাবেন দেখবেন মেশিনে বিজেপি আগে থেকে কোনও ভোট ভরে রাখতে ন পারে। দেরি হলে অপেক্ষা করবেন, না ভোট দিয়ে ফিরে যাবেন না। ভোট হয়ে যাওয়ার পর মেশিন গুলো কাউন্টিং করা অব্দি রক্ষা করতে হবে।
১২:৪০: ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মির্জাফরদের বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে।
১২:৩৯: আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বা সাংসদ হিসেবে একটা পয়সাও নিইনি।
১২:৩৮: আপনারা কি চান বহিরাগত গুন্ডারা এখানে আসুক? নন্দীগ্রাম, খেঁজুরী আর কাঁথির হার্মাদদের আপনারা দেখেছেন? তখন নন্দীগ্রামে গুলি চলে তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। আমি ছুটে গিয়েছিলাম স্পটে। আমাকে গুলি করা হয়েছিল।
১২: ৩৭: ১০০ দিনের কাজে আমরা প্রথম। আপনারা আপনাদের ভাইবোনেদের ফিরে আসতে বলুন। এখানে বসেই সবাই কাজ করবে, মুম্বই যেতে হবে না। ভোটের দিন সবাইকে ডেকে আনবেন, যাতে ভোট দেয়। না হলে বিজেপি আবার বের করে দেবো। বহিরাগত গুণ্ডারা এসে পানবাহার চিবোচ্ছে, আর টিকা লাগিয়ে নিয়ে বলছে, ‘‘হাম যা বোলেগা, ওহি চলেগা।’’ উত্তরপ্রদেশে মেয়েরা দুপুরেও বেরোতে পারে না।
১২:৩৬: মহিলারা ঘরে কাজ করেন, অনেকসময় তাঁদের হাতে টাকা থাকে না, তাঁদের নিজে পায়ে দাঁড়াতে হাত খরচ ৫০০ টাকা করে, তফশিলি জাতি ও উপজাতিরা ১০০০ টাকা পাবেন। পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড করা হবে।
১২:৩৪: আমাদের সরকার জিতলে আপনার দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছে দিয়ে আসবে। আমাদের সরকার জিতলে কৃষক, ক্ষেতমজুরদের টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে। বছরে চার বার দুয়ারে সরকার হবে।
১২:৩৩: তারা পালিয়ে গেছে গদ্দারি করেছে তারা কে কত নিয়েছে জিজ্ঞাসা করুন। একসময় অনেক সম্মান করতাম, আজ সেই মীরজাফর বিজেপিকে নিয়ে এসেছে। এগরার ঘরে ঢুকে সিঁদ কেটেছে। এদের থেকে বড় গদ্দার কেউ নেই। এদের থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে।
১২:৩২: এখানে ক্যেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে, প্রায় ২৫ হাজার লোকের চাকরি হবে।
১২:৩১: মেদিনীপুর মৎসজীবীদের আমি দেখবো। এদের ভাতা বন্ধ হতে দিইনি, পর্যটন শিল্পের জন্য স্পেশাল প্রকল্প। মৎস্যজীবীদের জন্য অকশন সেন্টার করেছি, আইডেন্টিটি কার্ড করেছি, হারিয়ে গেলে ফেরত নিয়ে আসছি।
১২:৩০: এখানে অনেক কাজ করেছে আমাদের সরকার। কিন্তু ওরা করেছে বলে নিজেদের নাম লাগিয়ে দিয়ে দিয়েছে। কপালেশ্বর থেকে দীঘা গেট সব কিছু হয়েছে। গত মাসে প্ল্যানও হয়ে যাবে। দীঘাতে তিনটে সেতু তৈরি হচ্ছে, কাঁথি থেকে দীঘা নতুন করে সেজে উঠব। কাঁথিতে হাসপাতাল, বাস স্ট্যান্ড, রাস্তা, সব করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দীঘা গেট তৈরি করলাম আমরা, আমার নাম দিয়ে ওরা নিজেদের নাম দিয়েছে। কাঁথিতে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে, আগামীদিনে ৫০০ হলে ওটাও মেডিক্যাল কলেজ হবে। মুম্বইয়ে মেরিন ড্রাইভের মতো সেতু তৈরি হচ্ছে দীঘাতেও। কাঁথি থেকে দীঘা সেতু তৈরি হলে নতুন করে সেজে উঠবে। দীঘানে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার আমরা তৈরি করেছি। দীঘা, কাঁথির উন্নয়ন আমরা করেছি। দীঘা তমলুক রেল আমি করেছি।
১২:২৯: আজ আমি কাঁথিতে এসেছি। আগে আমাকে কাঁথিতে মিটিং করতে দিতে দেওয়া হতো ন। জমাদার জোতদারদের অঞ্চল ছিল। নির্বেদ রায়, সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল কারণ ওদের পছন্দ নয় বলে। যাঁরা ওদের কথা শুনবে তাঁরাই থাকবে, যাঁরা শুনবে না, থাকবে না, এটাই ছিল নিয়ম।
১২:২৮: আমার অনেক মা-বোনেরা পায়ে হেঁটে এসে এই সভা প্রাণবন্ত করেছেন। মায়েদের পা গুলোকে আম প্রণাম জানাই।
১২:২৬: সনাতন বর্মা ট্রাস্ট কে প্রণাম ও অভিনন্দন। আমি পুরোহিতদের ভাতা চালু করেছি, গরিব পুরোহিতদের বাড়িরও ব্যবস্থা করেছি