বিজেপির ইস্তাহার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে শুরু করেছে তৃণমূল। তাদের কটাক্ষ, ‘সোনার বাংলা’-র উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছেন এক গুজিরাতি। তাও আবার হিন্দিতে। এবার বিজেপির ইস্তেহার নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের সভা থেকে সরব হলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এদিন তিনি বলেন, বিজেপি ইস্তেহার অডিও ক্যাসেটের মতো। শুধু শোনা যায়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ বাস্তবে দেখা যায় না। আর তৃণমূলের ইস্তেহার হাই কোয়ালিটি ডিভিডি। শোনাও যায়, দেখাও যায়। মোদীর সাত বছরের কার্মকাণ্ড ও মমতার দশ বছরের কাজের তুলনা টেনেও বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন,তথ্য পরিসংখ্যান দেখিয়ে লড়াই হোক। যদি ১০-০ গোলে হারাতে না পারি তাহলে রাজনীতির আঙিনায় আর পা রাখব না।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একাধিক প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, আপনাদের মোদী গত নির্বাচনে বলেছিলেন, দেশের প্রত্যেককে ১৫ লাখ টাকা দেব। কেউ পায়নি। বলেছিলেন, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হবে। কেথায় সেই চাকরি? বলেছিল কালো টাকা ধ্বংস হবে, হয়নি। জিএসটি করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কথা বলেছিল। দেশের আর্থিক অবস্থা আজ রসাতলে। অন্যদিকে, আমাদের দিদি বলেছিলেন, বিনা পয়সায় খাদ্য দেব, দিয়েছে। বলেছিলেন কন্যাশ্রী দেব, যুবশ্রী দেব, গতিধারা দেব। সবই দিয়েছেন। আমরা যা বলি তা করে দেখাই।
এরপরই ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ বলেন, বিজেপি ইস্তেহারে (BJP manifesto) কত কথা! ২০১৯ সালে যা বলেছিলেন তা করেননি কেন? ওদের ৭ বছরের কাজের হিসেব নিন, আর জোড়া ফুলে ভোট দিন। একমাস আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছিলেন, দুয়ারে সরকার ভাঁওতা, স্বাস্থ্যসাথী ভাঁওতা। তার পরে কি হয়েছে দেখেছেন? দিলীপ ঘোষের দাদা ও বৌদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। এই তো অবস্থা।
তিনি জানান, ‘কেন্দ্র আয়ূষ্মান ভারত দিতে চেয়েছিল রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ লোককে। মমতা বলেছিলেন, আমি সবার মুখ্যমন্ত্রী। আমি সবাইকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুরু করলেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। শুনে রাখুন, আপনার বাড়ির মাথার ওপরে ছাদটা যদি পাকা হয়, আপনার যদি স্মার্টফোন, মোটরবাইক থাকে তাহলে আপনি আয়ূষ্মান ভারত পাবেন না। কালিম্পং থেকে কাকদ্বীপ সবাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবেন। সবাই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়।’