উত্তর দিনাজপুরের এখনও প্রচারে ঝাঁপাতেই পারেননি বিজেপি প্রার্থীরা
উত্তর দিনাজপুর(North Dinajpur) জেলায় বিজেপির(BJP) প্রার্থীরা এখনও প্রচারে ঝাঁপাতে পারেননি। জেলার ন’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সাতটিতেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। ঘোষণার দু’দিন পরেও প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারছেন না। কালিয়াগঞ্জের(Kaliaganj) প্রার্থীকে এখনও দেখা যায়নি। তা নিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় জেলা জুড়েই কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আপাতত সেই ক্ষোভকে সামাল দিতেই ব্যস্ত নেতৃত্ব। ফলে তারা প্রচারে ঝাঁপাতে পারছে না। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ক্ষোভ মিটে গিয়েছে। প্রচারও শুরু হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, এখন প্রচারের প্রস্তুতি চলছে। ক্ষোভের কিছু নেই। অনেকেই প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বাড়িতে প্রার্থীদের আগে যাওয়া দরকার। কালিয়াগঞ্জের প্রার্থীর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল। তিনি এর আগেও দু’বার প্রার্থী হয়েছেন। কর্মীদের একাংশ এবার অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন। সেজন্যই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তিনি এখনও প্রচার শুরু করেননি। চাকুলিয়ার প্রার্থী সচিন প্রসাদ। তিনি দলে নবাগত। তাঁকে প্রার্থী করায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। দলের একাংশ তাঁকে বহিরাগত বলছে। তিনিও প্রচার শুরু করেননি। কালিয়াগঞ্জের প্রার্থী সৌমেন রায় আলিুপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার বাসিন্দা। স্থানীয় নেতৃত্ব প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছে। তিনিও প্রচারে নামেননি। হেমতাবাদের প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত বিধায়ক দেবেন রায়ের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। তাঁকেও এলাকায় প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। সেখানেও প্রার্থী বদলের দাবি উঠেছে।
চোপড়ায় প্রার্থী হয়েছেন শাহীন আখতার। তিনি শুক্রবার নিহত বিজেপি কর্মী অরেন সিংয়ের বাড়ি থেকেই প্রচার শুরু করেছেন। রায়গঞ্জের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী প্রচার শুরু করেছে। দুই প্রার্থী প্রচার শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত সেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেননি।
সৌম্যরূপ মণ্ডল বলেন, প্রচার অভিযান সোমবার থেকে শুরু হবে। দাড়িভিট থেকেই প্রচার শুরু করব। কর্মীরা ক্ষুব্ধ নয়, আমরা সাংগঠনিক বৈঠক করছি। বিজেপির ইসলামপুর টাউন সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বসে আলোচনা করার পরে প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করব। চাকুলিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী সচিন প্রসাদ বলেন, প্রথমে বিক্ষুব্ধদের মানিয়ে নিই, তারপর প্রচারে নামব। সৌমেন রায় বলেন, নেতৃত্ব আমাকে ডাকলেই প্রচার শুরু করব।
রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জোরকদমে প্রচার করছেন। তাঁরা একপ্রকার এলাকায় হাওয়া তৈরি করে ফেলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এখনও প্রচারে ঝাঁপাতে পারছে না। এর ফলে দলের কর্মীরা হতাশ। দলের একাংশ বলছে, প্রচারে ঝাঁপানোর আগে দলের ভিতরের ক্ষোভ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এখনও সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষোভ মেটেনি।