দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

এগরায় শাহের ভাষণ শুরু হতেই মাঠ ছাড়লেন বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থক

March 22, 2021 | 2 min read

রবিবার এগরার(Egra) বালিঘাই স্কুলমাঠে অমিত শাহকে(Amit Shah) একঝলক দেখেই মাঠ ছাড়লেন বেশিরভাগ লোক। তিনি বক্তৃতা রাখার সময় দেখা যায়, মাঠের ভিড় নিমেষে উধাও। মাত্র ১৩মিনিট বক্তৃতা দিয়েই মাঠ ছাড়েন অমিত শাহ। তখন মাঠের দুই-তৃতীয়াংশ আসন খালি। এমনিতেই ওই স্কুলমাঠ বেশ ছোট। মাঠের কিছুটা অংশ বাদ রেখেই মাথার উপর শামিয়ানা টাঙানো হয়েছিল। গোটা মাঠ পূর্ণ হয়নি। মঞ্চে অমিত শাহ যখন তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একের এক পর তোপ দাগছেন এবং বিজেপি ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলার স্বপ্ন ফেরি করছেন, তখন তাঁর দলের কর্মীরাই সেসব কর্ণপাত না করে সোজা বাড়ির পথ ধরলেন। সুদূর দিল্লি থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে এসে মাত্র ১৩মিনিটেই বক্তৃতায় ইতি টানতে বাধ্য হলেন মোদি মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কমান্ড। অন্যান্যদের মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় নেতা হরিশ ত্রিবেদী, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী এবং এগরা, পটাশপুর, ভগবানপুর ও কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভার দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


রবিবার সকাল ১০টায় এগরা বিধানসভার অন্তর্গত বালিঘাইয়ে দলীয় সভা হবে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু, ১১টাতেও সেভাবে ভিড় ছিল না। বেলা বাড়তে লোকজন আসা শুরু হয়। কিন্তু, প্রধান বক্তার বক্তব্য শোনার ধৈর্য দেখালেন না বেশির ভাগ কর্মী-সমর্থক। বাথুয়াড়ি গ্রামের এক বিজেপি কর্মী বলেন, ২০১৯সালে ২৯জানুয়ারি কাঁথিতে অমিত শাহের সভা ও পদযাত্রা শেষে তৃণমূলের গুণ্ডামি আমরা ভুলি যাইনি। ৫০টির বেশি গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ১৫জন জখম হয়েছিল। সেদিন যারা হামলায় মদত দিয়েছিল, আজকে তাদেরই দলে গ্রহণ করা হচ্ছে। 


শাহের বক্তৃতার শুরুতেই মাঠ থেকে বাড়িমুখো হওয়া এগরার বয়সপুর গ্রামের বাসিন্দা কেদার পাড় বলেন, অমিত শাহকে একঝলক দেখতে এসেছিলাম। সবসময় টিভির পর্দাতেই দেখেছি। নিজেদের এলাকায় আসছেন শুনে এসেছি। ছত্রী গ্রামের এক বিজেপি কর্মী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। সকাল ১০টায় সভা শুরুর কথা বলা হলেও সাড়ে ১২টায় অমিতবাবুরা এলেন। এই গরমে সকলেই কাহিল হয়ে যাচ্ছেন। তাই ধৈর্য ধরে বক্তৃতা শোনার মতো অবকাশ নেই।


এদিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূল ও রাজ্য সরকারে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, বাংলায় মা মাটি মানুষের স্লোগান দিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন হয়নি। মোদির নেতৃত্বে বাংলায় কাটমানি ও সিন্ডিকেটমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। এরাজ্যে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনে পুলিস গুলি চালায়। দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজোর জন্য আদালতে যেতে হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে ওরা ভোট দিতে দেয়নি। কথা দিচ্ছি, দিদির গুণ্ডারা আপনাদের আর কিছু করতে পারবে না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান ভারত স্কিম কার্যকর হবে। কৃষকসম্মান নিধি প্রকল্প চালু হবে। বাংলার ভালোর জন্য ডবল ইঞ্জিন দরকার। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Amit shah, #crowd, #Egra

আরো দেখুন