স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অপারেশন করিয়ে তৃণমূলের জয়গান বিজেপি কর্মীর
কোনও প্রলোভনে পড়ে নয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের(Swasthya Sathi) দৌলতে হাড়ের জটিল অপারেশন করিয়ে বিজেপি(BJP) কর্মী এখন নিজে থেকেই তৃণমূলের(TMC) হয়ে সওয়াল করছেন। দাসপুর-২ ব্লকের দুবারাজাপুরের বাসিন্দা কাশীনাথ কর্মকারের(Kashinath Karmakar) কৃতজ্ঞতামূলক প্রচার এলাকার বিজেপিকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে। ওই গ্রামের বিজেপি নেতা হরেকৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, ‘বিজেপি কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেয় না। ওটা একটা সরকারি প্রকল্প। কিন্তু কাশীনাথবাবুর মনে হয়েছে তৃণমূল তাদের গাঁটের টাকায় অপারেশন করিয়েছে। তাই এ নিয়ে কাশীনাথবাবু যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন’।
১৩ মার্চ কাশীনাথবাবু এবং তাঁর এক প্রতিবেশী প্রফুল্ল কর্মকারকে নিয়ে বাইকে করে দাসপুর গঞ্জে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার আনতে গিয়েছিলেন। ঘাটাল- পাঁশকুড়া সড়কের লাওদাতে তাঁদের বাইকটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। গুরুতর জখম
হন ওই দুই প্রতিবেশীই। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হতে ওই দিন তাঁদের দু’জনকে স্থানান্তরিত করে ঘাটাল শহরের এক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়।
কাশীনাথবাবুর স্ত্রী মেনকা কর্মকার কলেন, ‘আমার স্বামীর পা এবং হাতের কব্জি ভেঙে হায়। জরুরি অপারেশনের দরকার ছিল। স্বাস্থাসাধী কার্ড না থাকলে আমাদের পক্ষে ওই অপারেশন করানো সম্ভব ছিল না। প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পুরোটাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে হয়েছে’। মেনকাদেবী আরও বলেন, ‘আমরা না বুঝেই বিজেপি করতাম। রবিবার বিজেপির লোকেরা আমাদের বাড়ি খোঁজ নিতে এসেছিল। আমি শুনিয়ে দিয়েছি যে শুধু জয়শ্রী রাম বললেই হবে না। রাজ্যের প্রকল্পের জন্যেই আমাদের মতো গরীবেরা এ যাত্রায় উদ্ধার পেলাম। অতীতে যা ভুল করেছি আর নয়। আমরা তৃণমূল সরকারকেই চাই’।
প্রফুল্ল বাবুর অপারেশনে কাশীনাথ বাবুর থেকে বেশি খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বরাবরই তৃণমূল করি। এখন কৃতজ্ঞতা আরো বেড়ে গেল।