এনসিটি দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনা পেছানো হোক, রাজ্যসভা অধ্যক্ষকে চিঠি তৃণমূলের
চারদিন পর পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) প্রথম দফার নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। প্রচার চলছে পুরোদমে। তাই, নির্বাচনী কর্মসূচিতে ব্যস্ত সাংসদরা। সেই কারণে, পিছিয়ে দেওয়া হোক এনসিটি দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনা। এই মর্মে আজ রাজ্যসভা অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের(TMC) দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O Brien)।
দেড়েকের দাবি, এনসিটি বিল(NCT Bill) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল, ভারতের ওপর এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। তাই, প্রত্যেক সাংসদকে এই বিলের ওপর আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া উচিত। তড়িঘড়ি এই বিল যেন পাশ না করা হয়। তৃণমূলের যুক্তি, রাজ্যসভা হল রাজ্যগুলির পর্ষদ। মানুষের আস্থা বজায় রাখা দায়িত্ব সাংসদদের। তাই, বিশদে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি বিল পাশ করলে মানুষের সাথে বিস্বাসঘাতকতা করা হবে।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘আজ সবথেকে খারাপ লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা সঙ্কুচিত করা হয়েছে। তাহলে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু আজকে এমন কী হল?’
মমতার সংযোজন, ‘নির্বাচিত আর মনোনীত সরকারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। নিন্দা করছি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমর্থন করেছি। প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিবাদ জানানো উচিত। গণতান্ত্রিক সরকার কখনও দুর্বল নয়।’